ভূয়া সচিবের ছবি গণমাধ্যমে : থানায় এসে আরেক ভুক্তভোগীর মামলা
ডেস্ক নিউজ: চট্টগ্রামে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া সে ভূয়া বন্দর সচিবের ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর থানা এসে ভিড় করছেন ভুক্তভোগীরা। তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় দায়ের করা হয়েছে আরো একটি প্রতারণা মামলা।
মামলার বাদী মো. আবদুল মতিন। তিনি একজন ব্যবসায়ী। আজ রবিবার থানায় এসে সেই ভুয়া সচিবের বিরুদ্ধে ১৭০ /৪০৬ /৪২০ /৪৬৭ /৪৬৮ /৪৭১ /৩৪ ধারায় তিনি মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, জানা যায়, চাকরি দেয়ার নাম করে প্রতারণার মাধ্যমে মামলার বাদি মতিন ও তার বন্ধু মোহাম্মদ আলমগীর কবির (৩২) এর কাছ থেকে বিভিন্ন মেয়াদে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ভূয়া সচিব সেকান্দার আলী।
দীর্ঘদিন তাদের চাকরি না হওয়ায় সেকান্দারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজ না কাল যোগদান করাবে, আবার কোন কোন সময়ে কোভিড-১৯ কারণে স্থগিত বলিয়া সময় ক্ষেপন করতে থাকে।
এদিকে আবুল কাশেম নামে আরেক ভুক্তভোগীর দায়ের করা প্রতারণা মামলায় গত ২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বন্দর সচিব পরিচয় দেওয়া ওই প্রতারক সেকান্দার আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরদিন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সেকান্দার আলীকে গ্রেফতার করার খবর প্রকাশ হলে খোঁজ খবর নিয়ে চিহ্নিত এ প্রতারকের বিরুদ্ধে আজ রবিবার থানায় এসে পৃথক আরো একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী আব্দুল মতিন।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন। তিনি বলেন, পেশাদার প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য সেকান্দর আলী। প্রতারণা করে জীবিকা নির্বাহ করাই তাদের একমাত্র উৎস।
অপরাধের ধরণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে ওসি জানান, গ্রেফতার প্রতারক সেকান্দার আলী নিজেকে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব পরিচয় দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন চাকুরী প্রার্থী লোকজনদের বন্দরে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিত।
প্রথমে তাদের সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা নানা কৌশলী ও ছল চাতুরীর মাধ্যমে চাকরী প্রত্যাশীদের বিশ্বাস অর্জন করেন। পরে কয়েক দফায় মোটা অংকের টাকা হানিয়ে নিয়ে ইন্টারনেট থেকে ভুয়া নিয়োগপত্র সংগ্রহ করে প্রার্থীদের বাসায় পাঠাত এবং ভুয়া পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাগজ ডাকযোগে থানায় পাঠাত।
থানা থেকে পুলিশ চাকুরী প্রার্থীদের বাড়িতে গেলে চাকুরী প্রার্থীদের নিকট থেকে চাকুরী হয়ে গেছে বলে অবশিষ্ট টাকা আদায় করে প্রার্থীদের সাথে সকল ধরণের যোগাযোগ বন্ধ করে দিত।
এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের সূত্র ধরে প্রতারক সেকান্দার আলীকে গ্রেফতারের ফর অনেক ভুক্তভোগী এখন থানায় ভিড় করছে,তাদের অভিযোগ জানাচ্ছে। আজ ওই প্রতারকের নামে আরেক ভুক্তভোগী মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্ত করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।