chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

যানজটে মূল্যবান কর্মঘণ্টা অপচয় হচ্ছে: চসিক মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক: যানজট অসহিষ্ণু মাত্রায় পৌঁছেছে এবং এর ফলে কর্মব্যস্ত নাগরিক সমাজের মূল্যবান কর্মঘণ্টা অপচয় হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

তিনি বলেন, এর বিরূপ প্রভাব জাতীয় অর্থনীতিতে পড়ছে। তাই এই সমস্যার সমাধানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের ট্রাফিক বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে তার অফিস কক্ষে এডিশনাল কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে এলে মেয়র এসব কথা বলেন।

এ সময় শ্যামল কুমার নাথ মেয়রকে অভিহিত করেন যে, নগরীতে এখন সাড়ে ৩ লাখ যান্ত্রিক গাড়ি ও প্রায় ৩ লাখ রিক্সা চলাচল করে। এর মধ্যে মাত্র ৭০ হাজার রিক্সা বৈধ। এ ছাড়া নগরীর অধিকাংশ ফুটপাত অবৈধ দখলদারের হাতে চলে যাওয়া ও নগরীর প্রবেশমুখে কন্টেইনার ডিপো স্থাপন যানজটের বড় কারণ।

এর প্রত্যুত্তরে চসিক মেয়র বলেন, পর্যায়ক্রমে অবৈধ রিক্সা অবশ্যই উচ্ছেদ করা হবে। এখন থেকে রিক্সার বারকোড প্রদান করবে চসিক, সিএনজি বারকোড ব্যবস্থা করবে সিএমপি এবং ফুটপাতে টাইলস স্থাপন করে ফেন্সিং রেলিংয়ের মাধ্যমে সাজানো হবে। এতে ফুটপাতের উপর দোকান বসলেও ক্রেতা সহজে বিক্রেতার নিকট পৌঁছাতে পারবে না।

তিনি বলেন, নগরের ২০ মাইলের মধ্যে কোন ইনল্যান্ড বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো থাকার কথা নয়। কিন্তু নগরের ভেতর একাধিক বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো থাকায় নগরীর প্রবেশমুখগুলোতে যানজট প্রকট আকার ধারণ করছে। এই ডিপোগুলো সরানোর জন্য বন্দরসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সমন্বয় করে তাদের নগরীর বাইরে স্থাপনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মেয়র আরও বলেন, ফ্লাইওভারগুলোতে অপরাধ প্রবণতা দমনে চসিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে বিশেষ নজরদারি কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এজন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও সহায়তা লাগবে। তিনি আরও জানান, নগরীতে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পে-পার্কিং ব্যবস্থাপনার প্রচলন করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, ডিসি ট্রাফিক তারেক আহমেদ, মহিউদ্দীন খান প্রমুখ।

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর