জিয়া জাদুঘর নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির প্রতিবাদ
ডেস্ক নিউজ: জিয়াউর রহমান সম্পর্কে চট্টগ্রামে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
আজ সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ প্রতিবাদ জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা আজ কেন শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে কথা বলছে? কারণ তারা দেউলিয়া হয়ে গেছে। আজ বিষয় হচ্ছে করোনার টিকায় অনিয়ম, নির্যাতন, দুঃশাসন, লুটপাট ও বিদেশে অর্থ পাচার।
নেতৃবৃন্দরা বলেন, রাতের আঁধারে ভোট চুরি করে মন্ত্রী হওয়া এসব দুর্বৃত্তরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্য সম্পর্কে কথা বলার কোন যোগ্যতাই রাখেন না।
‘প্রধানমন্ত্রীর গুডবুকে থাকার জন্যই এই আবাল মন্ত্রীরা শহীদ জিয়াকে নিয়ে পাগলের প্রলাপ বকছেন। তাদের মতো লোকদের একমাত্র কাজ হচ্ছে মিথ্যাচার, বিষোদগার, চরিত্র হনন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি।’
তারা বলেন, ভোট চোর ও জনগণের আমানত লুন্ঠনকারি তথাকথিত মন্ত্রী পদবীধারি ব্যক্তিরা জিয়া ও জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় বিষোদগার করে মন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারলেও জনগণের কাছে গণধিকৃত এবং ইতিহাসের ডাষ্টবিনের কীটে পরিণত হবেন। সময় বেশি দূরে নয় এসব আবাল মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে পালানোর পথ পাবে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিমন্ত্রীর বয়স তো এখন মাত্র ৪৫/৫০ হবে। তিনি সম্ভবত উনার পিতা বা পিতামহ কেউ বেগম জিয়ার বাবার ঘরে গৃহ ভৃত্য হিসাবে কাজ করতেন। তা নাহলে বেগম জিয়ার এই বিষয়টি অন্য কেউ নয়, তিনি জানলেন কীভাবে?
‘বিএনপির নেতাকর্মীদের তিনি বিএনপির দালাল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বিএনপি করলে যদি বিএনপির দালাল হয় তাহলে তিনি (মন্ত্রী) আওয়ামী লীগ করেন, তাহলে তিনিও (মন্ত্রী) আওয়ামী লীগের দালাল।’
নেতৃবৃন্দ বলেন, একজন মন্ত্রীর কথাবার্তায় শালীনতা থাকা বাঞ্ছনীয়। বর্তমান সময়ে সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যে এই সত্যটাই উঠে এসেছে বাংলাদেশে একমাত্র বিএনপিই জনগণের রাজনৈতিক সংগঠন। একটি গণমুখী রাজনৈতিক দল।
‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতিক। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান হচ্ছেন দেশের স্বাধীনতা প্রিয় ও গনতন্ত্রকামী মানুষের একমাত্র নেতা। তাই জনগণের অর্থ লুন্ঠনকারীরা প্রতিদিন বিএনপিকে দুঃস্বপ্ন দেখে।’
বিএনপি নেতৃবৃন্দ এই প্রতিমন্ত্রীকে অবিলম্বে তার কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রত্যাহার করে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান সম্পর্কে জানতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরি পাঠ করে ইতিহাস জানার অনুরোধ জানান।
আরএস/এমআই