chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বেপরোয়া চলাফেরায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা সুজনের

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বেপরোয়া চলাফেরার ফলে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা  প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

আজ মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এসময় তিনি বলেন, সরকার করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশের জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর গুরুত্ব আরোপ করে সতর্ক করেছেন।

‘কিন্তু আমরা দেখতে পেয়েছি যে মাস্ক না পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা এবং সামাজিক সংঘবদ্ধতা থেকে দূরে থাকতে না পারার কারণে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।’

তিনি বলেন, এদিকে লকডাউন, কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণার মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের হার কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। করোনা সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা কমতে থাকায় সরকার অর্থনীতির স্বার্থে লকডাউন শিথিল করছে।

‘আর লকডাউন শিথিল করার সাথে সাথেই দেখা যাচ্ছে যে আমাদের জনগণ অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে। করোনাভাইরাস দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে তাণ্ডব চালিয়ে মানুষের জীবনে যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে তা সাধারণ মানুষ মানতেই চাইছেন না।’

সুজন বলেন, মানুষ আগের মতোই মাস্কবিহীন অবস্থায় ঘুরাঘুরি করছে। বিয়ে, শাদী, মেজবানসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ব্যাপক জনসমাগম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর পরিণতি যে খারাপ হতে পারে তা কেউ ভাবছেন না। এভাবে চলার ফলে যে কোন সময় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়ে মৃত্যুর মিছিল শুরু হতে পারে। এ অবস্থায় নিজেদের স্বার্থে আমাদের সবাই সতর্ক থাকা একান্ত জরুরি।

তিনি বলেন, পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৯ আগস্ট থেকে খুলে দেওয়ার ঘোষণা থাকলেও এখন থেকেই বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

‘রেস্তোরাগুলোকে অর্ধেক আসন খালি রেখে পরিচালনা করার কথা বললেও তারা তা মানছেন না। সর্বক্ষেত্রে আইন না মানার একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, যা সচেতন মহলকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে।’

তাছাড়া সামাজিক অনুষ্ঠানাদির ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ প্রশাসনের সমন্বয়ে আলাদা সেল গঠন করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, উক্ত সেল সামাজিক অনুষ্ঠানের অনুমতি প্রদান করবেন। তারা নিয়মিত মনিটরিং করবেন যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক অনুষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে কিনা?

এভাবে কঠোর মনিটরিংয়ের মধ্যে না রাখলে সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ আবারো বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। সাথে সাথে যতদিন পর্যন্ত কোভিড সংক্রমণ সিঙ্গেল ডিজিটের মধ্যে না আসে ততদিন পর্যন্ত জনগণকে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বাধ্য করতে হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি জনগণকে বিনয়ের সাথে মাস্ক পরা, সামাজিক সংঘবদ্ধতা থেকে দূরে থাকা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সবিনয় অনুরোধ জানান।

সুজন বলেন, আমরা যদি সরকারি নির্দেশনা মানতে ব্যর্থ হই তাহলে আমাদের সকলকে কষ্টকর লকডাউন সহ্য করতে হবে। এ ছাড়া সরকারের হাতে আর কোন উপায় থাকবে না। সুজন জনগণের জীবনের নিরাপত্তায় সরকারকে উপরোক্ত বিষয়সমূহ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার অনুরোধ জানান।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর