chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

এখনই লাগাম টানতে হবে কিশোর অপরাধ

রক্ষা করতে হবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম

বর্তমান করোনা কালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাত্র ছাত্রীরা অলস সময় পার করছে। এই সময়ের মধ্যে তারা জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে। কিশোরদের সেই অপরাধ কাজে লিপ্ত করছে এলাকার কথিত বড় ভাইয়েরা।

কথিত বড় ভাইয়েরা তাদের আধিপত্য বিস্তারে এই কিশোরদের নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি করে। পরবর্তীতে কথিত বড় ভাইয়ের নির্দেশে নানা অপরাধ সংগঠিত করে। এরপর থেকে সেই কিশোরদের আর পেছনে ফেরার সুযোগ থাকেনা। অনেকেই একটি সময় গিয়ে বুঝতে পারে কিন্তু অনেক দেরি হয়ে যায়। ফিরে আসতে পারেনা স্বাভাবিক জীবনে।

সাম্প্রতিক সময়ে কিশোর অপরাধীদের মধ্যে সাধারণ অপরাধ যেমন- চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ইত্যাদি অপরাধের প্রবণতা কিছুটা কমেছে। কিন্তু খুন, ধর্ষণ এবং ধর্ষণ করার পর হত্যা করার মতো হিংস্র ধরনের অপরাধ করার প্রবণতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েই চলেছে।
আমাদের কিশোরেরা কেন দিন দিন এত বেপরোয়া ও হিংস্র হয়ে উঠেছে এ নিয়ে এখই ভাবার সময় এসেছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো, খুনের পন্থাগুলো খুব নৃশংস ও ভয়াবহ এবং সংঘবদ্ধভাবে দিনের আলোতেই খুন করা হচ্ছে।

আমাদের দেশে যে আইনে কিশোর অপরাধীদের বিচার করা হয় তাতে কি তাদের ভেতর থেকে অপরাধ প্রবণতা কমেছে? উত্তরে আসবে না, মোটেও না বরং আরো বেড়েছে। তাহলে তাদের ভেতর থেকে কিভাবে অপরাধ প্রবনতা কমানো যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। তাদের কাউন্সেলিং করতে হবে, ফলোআপে রাখতে হবে। কিশোর অপরাধ বিচারের বিদ্যমান ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনার প্রয়োজন।

★তাদের কিভাবে মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা যায়?
★তাদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে পারলে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি হবে?

★তাদের যদি এখনই দমানো না যায় তাহলে একেকজন বড় বড় সন্ত্রাসীতে পরিণত হলে আমাদের ভবিষ্যৎ কি?