chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ডিটি রোডের বেহাল দশা, ছোট-বড় গর্তে জমে আছে পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক: কর্দমাক্ত সড়কের ছোট-বড় অসংখ্য গর্তে জমে আছে পানি। নগরীর ঢাকা ট্রাঙ্ক রোডের (ডিটি রোড) সদরঘাট থেকে বারেক বিল্ডিং, এই সড়কে কিছুদূর পর পর এমন অসংখ্য গর্তের দেখা মিলে।

এমন সড়কের উপর দিয়েই দুর্ভোগ নিয়ে নিয়মিত চলাচল ১০-১২ চাকার লরির। একইসাথে ভোগান্তির অন্ত নেই বসবাসকারী স্থানীয় জনগণের। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বলছে, লকডাউন ও ভারী বৃষ্টির কারণে রাস্তার সংস্কার কাজ করা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি ঠিক হলে দ্রুত রাস্তা সংস্কার করা হবে।

রেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ছোট-বড় এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। যার সামনে দাঁড়ালে নিচের গর্ত সম্পর্কে ধারণা যেমন মিলছে, একইভাবে জমে থাকা পানিতে ফুটে উঠছে ধীরগতিতে এগিয়ে আসা ট্রাকচালকের চিন্তিত চেহারারও। দিনের পর দিন এমন ভোগান্তিকে সঙ্গী করেই তাদের চলাচল। গাড়ির সরঞ্জাম নষ্টের পাশাপাশি অপচয় হচ্ছে কর্মঘণ্টাও। বৃষ্টির দিনে পানি ও কাদায় মিশে একাকার হয়ে যায় এই রাস্তা।

এই সড়কে গাড়ি চলাচলে বেশ কষ্ট হয় বলে জানিয়েছেন ট্রাকচালক আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, রাস্তার দুরবস্থায় গাড়ির খরচ বেড়ে যায়। প্রতিদিন কিছু না কিছু নষ্ট হয়। রাস্তা ভালো না থাকলে ট্রাক চালিয়ে শান্তি নেই। বৃষ্টি হলে পানি জমে, কাদার কারণে আটকে যায় গাড়ি। অনেক সময় সড়কে গাড়িও উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।

রাস্তার সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে ২৮ নং পাঠানঠুলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাহাদুর চট্টলার খবরকে বলেন, দ্রুতই এই রাস্তা সংস্কার করা হবে। মাসখানেকের মধ্যেই রাস্তা ঠিক হয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে অসন্তুষ্টির মাত্রাও কম নয়। দীর্ঘদিন এই সড়কে চলাচল করে অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন তারা। বর্ষায় এই রাস্তায় চলাচলে পোহাতে হয় সীমাহীন দূর্ভোগ। বয়স্করা তো অন্যের সহযোগিতা ছাড়া চলতেই পারেন না। অনেক সময় জরুরি কাজে অ্যাম্বুলেন্সও রোগী নিয়ে ভোগান্তিতে পড়ে। মাঝপথে ভাঙা রাস্তায় ও কাদার মধ্যে আটকে যাওয়ার আশঙ্কায় রোগী নিয়েও বিপদে পড়তে হয় স্থানীয়দের।

রশিদ বিল্ডিং এলাকার বাসিন্দা ব্যাংকার মাহমুদ হাসান চট্টলার খবরকে বলেন, একটা দুঃখের বিষয় হচ্ছে এই রাস্তার সংস্কার কাজ এতদিনেও হচ্ছে না। বৃষ্টির দিনে তো দুর্বিষহ দিন কাটাতে হয় আমাদের। যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে তাদের গাড়ির কিছু না কিছু প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে। যার ফলে খরচও বাড়ছে প্রচুর।

একই সমস্যার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ী মনসুর আলী বাপ্পী। তিনি বলেন, এসব রাস্তায় রিক্সাও চলাচল করে না তেমন। সিএনজি অটোরিক্সা তো যেতেই চায় না। কখনও যদি যেতে রাজি হয় তাহলে ভাড়া গুণতে হয় দ্বিগুণেরও বেশি। এভাবে তো আয়ের সাথে ব্যয়ের সামঞ্জস্য হয় না। রাস্তা ঠিক না হলে এভাবে খরচ বাড়বে আর আমাদের জন্য যেটা বিরাট সমস্যা।

সবমিলিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে উদ্বেগের শেষ নেই এই রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে। সবার দাবি অতিদ্রুত যাতে এ রাস্তার ভেঙে যাওয়া অংশ সংস্কার করে মুক্তি দেওয়া হয় দুর্ভোগ থেকে।

বৃষ্টি ও লকডাউনের কারণে বর্তমানে এই রাস্তার সংস্কার কাজ পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না বলে চট্টলার খবরকে জানিয়েছেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিফুল ইসলাম।

ইনি/এসএএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর