chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রাম নগরীর কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধস 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারী বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানার লালখান বাজার বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটিসহ কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।

তবে কোথাও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পাহাড়ের আশপাশে প্রাণহানি ঠেকাতে এসব এলাকার পাহাড়ের পাদদেশ থেকে সকল পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী টিম।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তিন দফায় আমান উল্লাহ হাউজিং এলাকার সুউচ্চ একটি পাহাড় ধসে পড়ে। এর আগে সকালে আমবাগান এতিমখানা পাহাড় এবং বায়েজিদ সংযোগ সড়কেও পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে।

আমান হাউজিং সোসাইটিতে পাহাড় ধসের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক নিউটন দাশ। তিনি বলেন, আমান উল্লাহ হাউজিং এলাকায় পাহাড়ধসের পর ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজে ছুটে যায়।

ধসে পড়া পাহাড়টির পাশে একটি পরিবার বসবাস করলেও ঘটনার সময় ঘরের বাসিন্দারা নিরাপদে ঘর থেকে বের হয়ে যান। ফলে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।

তাছাড়া একই এলাকায় ফের পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকায় পাহাড়ের আশপাশের আরো পাঁচটি পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান জানান, পাহাড়ের কিছু অংশ ধসে পড়ার খবর পেয়ে প্রশাসন এবং ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

তিনি জানান, পাহাড় ধসে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি রোধ করতে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন পাহাড় থেকে ইতোমধ্যে ১০৫ পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে নগরীর ৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে ২৫টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী।

নগরীর চকবাজার, কাপাসগোলা, রাহাত্তারপুল, চাদগাঁও, বাকলিয়া, চাক্তাই, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, প্রবর্তক মোড়, আগ্রাবাদের এক্সেস রোড, মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল এবং হালিশহরের নিচু এলাকায় রাস্তায় পানি জমে যায়।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল জানিয়েছেন, লঘুচাপের প্রভাবে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আরও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর