chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চমেকে নারীর শরীরে বিরল ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথমবারের মত ষাটোর্ধ্ব এক নারীর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের (কালো ছত্রাক) উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তবে হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাবে বিরল এ রোগের চিকিৎসা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সবাই।

জানা যায়, গত ২৫ জুন শরীরে জ্বরে আক্রান্ত হন ফেরদৌস বেগম নামে ষাটোর্ধ্ব ওই নারী। এরপর তার করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হলে গত ৩ জুলাই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ১২ দিন পর গত ১৫ জুলাই পুনরায় করোনা পরীক্ষা করলে তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

করোনা মুক্ত হওয়ার পরও তার শরীরে নানারকম অসুবিধা দেখা দিলে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা করতে গিয়ে নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ধারণা করছেন ওই নারী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরপর থেকেই তিনি চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সম্প্রতি চিকিৎসকরা এ রোগের প্রতিষেধক হিসেবে এমপোটেরিসিন-বি নামক একটি ইনজেকশন লিখে দেন। যা প্রতিদিন ৫ ভায়াল করে মোট ১৪ দিন প্রয়োগের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

তবে চিকিৎসকের পরামর্শে এমপোটেরিসিন-বি নামক ইনজেকশনটি নগরীর বিভিন্ন ফার্মেসীতে খুঁজেও কোথাও এটি পাননি রোগীর স্বজনরা। সকলেই ওই ওষুধের জন্য এ ফার্মেসী থেকে ওই ফার্মেসী চষে বেড়াচ্ছেন।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ওই নারীর ছেলে মো. বেলাল হোসাইন ইনজেকশনটি খুঁজে দিতে এবং সন্ধান দিতে সকলের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মাত্র কিছুদিন হলো বাবাকে হারিয়েছি। এখন মাকেও হারাতে চাই না। যত টাকা লাগুক আপনারা এ ওষুধটি এনে দিন, প্লিজ আমার মাকে বাঁচান।

ইনজেকশনটি দেশে সরবরাহ নেই জানিয়ে চট্টগ্রামে সিভিল সার্জন ডা.সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, এর আগে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (কালো ছত্রাক) শনাক্ত এক রোগীকে এ ইনজেকশনের বিকল্প হিসেবে অপর একটি ইনজেকশন পুশ করা হয়েছিল। তবে তাতে কার্যকর কোন ফলাফল আসেনি।

তাছাড়া বিরল এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দেশে এতই নগণ্য যে সরকারিভাবে ইনজেকশনটি যোগান দেওয়া সম্ভব নয়। তবে রোগী বাড়লে সরকারি নির্দেশনা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর