চমেকের কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক এক কর্মচারীকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মারধরের শিকার মো. সোহেল। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, চমেকের চতুর্থ শ্রেণি সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুপম দাশের নেতৃত্বে ওই সমিতির সদস্য নেজাম উদ্দিন, সুজন ও আমজাদ মিলে সমিতির অফিসে বেঁধে রেখে তাকে মারধর করেছেন।
কেন তাকে মারধর করা হয়েছে জানতে চাইলে সোহেল মুঠোফোনে চট্টলার খবরকে বলেন, গত বছরের ২৩ জুন সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুপম দাশের ওষুধ ব্যবসা, অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা ও রোগীর স্বজনদের সাথে দালালিসহ নানা অনিয়মের বিষয় উল্লেখ করে হাসপাতালের পরিচালককে আমি লিখিত অভিযোগ করি।
এরপর থেকেই তিনি আমার উপরে ক্ষিপ্ত ছিলেন। ওই ঘটনার রেশ ধরেই তিনি তার টর্চার সেলে আটকে রেখে আমাকে মারধর করেছেন।
সোহেল বলেন, শুধু মারধর করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি, আমার মানিব্যাগ ও রোগীর চিকিৎসার খরচ বাবদ পকেটে থাকা ৭৫ হাজার নগদ টাকা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন। তাছাড়া আপত্তিকর কিছু ভিডিও ধারণ করেন এবং ভয়ভীতির মাধ্যমে জোরপূর্বক মিথ্যা কিছু স্বীকারোক্তি গ্রহণ করেন।
এসময় আমি ব্যথায় চিৎকার করলে আশপাশে থাকা রোগী ও স্বজনরা ছুটে এসে আমাকে ওই কক্ষ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করে দেন। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে একটু সুস্থ হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুপম দাশের মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
এমআই/চখ