ডেস্ক নিউজ: করোনায় আক্রান্ত ও শনাক্তে নতুন রেকর্ড গড়ল চট্টগ্রাম। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৮ জন মারা গেছেন। করোনায় চট্টগ্রামে মৃত্যু শুরু হওয়ার পর থেকে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যায় এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
এর আগে গত ২০ জুলাই চট্টগ্রামে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার আগে একদিনের ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিলো গত ১১ জুলাই।
তাছাড়া করোনা আক্রান্ত শনাক্তেও নতুন করে রেকর্ড তৈরি হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩শ ১০ জন। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে এটিই সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এর আগে একদিনে রেকর্ড ১ হাজার ৩ জন শনাক্ত হয়েছিল গত ১৪ জুলাই। ওইদিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ২ হাজার ৮৭৯টি।
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে মারা যাওয়া ১৮ জনের মধ্যে নগরীতে ৭ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে মারা গেছে আরো ১১ জন। আগের দিন চট্টগ্রামের উপজেলা পর্যায়ে ৮ জন এবং নগরীতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিলো।
করোনা আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট ৯শ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫শ ৫৪ জন চট্টগ্রাম নগরের। আর বিভিন্ন উপজেলায় মারা গেছেন ৩শ ৬১ জন।
এদিকে আগের দিনের তুলনায় নমুনা পরীক্ষাও অনেক বেড়েছে। সিভিল সার্জন থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজার হাসপাতাল ল্যাবে ও চট্টগ্রামের ৮টি ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্ট মিলে মোট ৩ হাজার ৩শ ৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর আগের দিন এ সংখ্যা ছিলো ২ হাজার ২শ ৮২ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৩শ ১০ জন। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ৮শ ৪৮ জন। নতুন করে যাদের করোনা পজেটিভ এসেছে তার মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের ৮৩৩ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৪৭৭ জন রয়েছেন।
চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৭ হাজার ৫শ ২১ জন। মোট শনাক্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর ৫৮ হাজার ৩শ ২৩ জন। আর জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১৯ হাজার ১শ ৯৮ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলা পর্যায়ে যারা আক্রান্ত হয়েছেন এর মধ্যে সর্বোচ্চ আনোয়ারায় ৬৭ জন, বোয়ালখালী ৬৫ জন, হাটহাজারীর ৫৯ জন, পটিয়ায় ৫৭ জন, রাউজানে ৫৪ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৪৪ জন, ফটিকছড়িতে ৩০ জন, সীতাকুণ্ডের ২৩ জন, মিরসরাই ১২ জন, সন্দ্বীপে ৩৩ জন, চন্দনাইশে ০২ জন, সাতকানিয়ায় ১৮ জন, বাঁশখালীতে ২১ জন, লোহাগাড়ায় ০২ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ১৭৫ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৩৪ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে।
এদিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১২ জনের পরীক্ষা করে ৩ জনের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে। একই সময়ে চট্টগ্রাম ভেটেনারি ও এনিম্যাল সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবেও ১৫০ জনের করোনা পজেটিভ আসে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২৩ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়ে। এদিন ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৭৭ জনের করোনা পজেটিভ আসে।
গত ২৪ ঘন্টায় জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ল্যাবে কারো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। এদিন এন্টিজেন টেস্ট পরীক্ষায় ৪২৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
এদিন শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ৬৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২৮ জনের করোনা পজেটিভ আসে। অন্যদিকে এদিন ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে এদিন কারো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।