chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

খেটে খাওয়া একজন মানুষও অনাহারে মৃত্যুবরণ করেনি: তথ্যমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ: বাংলাদেশে করোনার দেড় বছর সময়ে খেটে খাওয়া একজন মানুষও অনাহারে মৃত্যুবরণ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ সোমবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, মানুষের মধ্যে করোনার শুরুতে যে ধরনের ভীতি ছিল সে ভীতিটা এখন আর নেই। গত এক বছর গ্রামে করোনা না ছড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামের মানুষের মধ্যে একটি ধারণা জন্মেছিল গ্রামে কখনো করোনা আসবে না।

‘কিন্তু এখন শহরের হাসপাতালে যে রোগীগুলো ভর্তি হচ্ছে তার ৭০ ভাগ রোগী গ্রাম থেকে আসছে। এখন সারাদেশে করোনা ছড়িয়েছে। এজন্য সবাইকে অনুরোধ জানাবো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে। নিজের স্বার্থেই লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মানা প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘আমার নিজের সুরক্ষা আমাকেই দিতে হবে। আমার সুরক্ষা অন্য কেউ দিতে পারবে না। এজন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানাবো, আমরা সবাই যেন সরকারের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।’

‘জনমত উপেক্ষা করে একটা একগুয়েমি সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার দিন দিন হিংস্র হয়ে যাচ্ছে। ফলে জনগণের ভোগান্তি বেড়েছে’ বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আসলে অতীতে বাংলাদেশে বিএনপি হিংস্রতা দেখিয়েছে। বিশেষ করে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যেভাবে মানুষকে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে হত্যা করা হয়েছে। বহু মানুষকে ঝলসে দেয়া হয়েছে, অনেকেই পঙ্গু হয়ে গেছে।’

‘এই হিংস্রতার রাজনীতি বাংলাদেশ এর আগে কখনো দেখেনি। পৃথিবীতে সমসাময়িক কালে রাজনীতির কারণে মানুষকে এভাবে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় এটি কেউ দেখেনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা নিজেরা হিংস্রতার রাজনীতি করেন। এজন্য এ কথাগুলো বলেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আজ প্রায় দেড় বছর করোনা। এ সময়ে দেশের খেটে খাওয়া একজন মানুষও অনাহারে মৃত্যুবরণ করেনি এবং দেশে কোনো হাহাকার নেই।

‘অনেকের সাময়িক অসুবিধা হয়েছে। সরকারের ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতার কারণে মানুষের মধ্যে কোনো হাহাকার নেই।’

হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আমাদের দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এই অসুবিধা সাময়িক। সবাই যদি স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মেনে চলে তাহলে লকডাউন প্রলম্বিত করতে হবে না।’

তিনি আরও বলেন, বিএনপি এ সব বিষয় নিয়ে কথা বলে অথচ ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে ১৫৮ দিন হরতাল অবরোধ ডেকেছিল তারা। তখন জনগণের অসুবিধা হয়েছিল, সেটা মাথায় ছিল না? ১৫৮ দিন তারা মানুষজনকে বন্দি করে রেখেছিল।

‘আজকে তো মানুষের জীবন রক্ষা করার জন্য লকডাউন দিতে হচ্ছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীর সব দেশে এ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। কিন্তু বিএনপি যে ১৩, ১৪ ও ১৫ সালে ১৫৮ দিন মানুষকে বন্দি করে রেখেছিল সেটার জবাবটা কি?’

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর