chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

করোনা মোকাবেলায় সেন্ট্রাল হটলাইন চালুর জন্য ডিসিকে সুজনের অনুরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা মোকাবেলায় একটি সেন্ট্রাল হটলাইন চালু করতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন

আজ শনিবার (২৪ জুলাই) নিজের সেলফোন থেকে ফোন করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে তিনি এ অনুরোধ জানান।

সুজন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনা সংক্রমণের হাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষায় নানারকম দিকনির্দেশনা প্রদান করে চলছেন। মাস্ক পরিধান করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রতিদিনই নানাবিধ প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা আমদানি করে দেশের মানুষের জীবন রক্ষায় গণটিকা কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে সরকারের এতোগুলো গণমুখী উদ্যোগের পরও জনগণ মাস্ক পরা কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে চরম উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে বারবার ঈদে বাড়ি যেতে নিষেধ করা হলেও গাদাগাদি করে অনেকে বাড়ি গিয়েছেন এবং বাড়ি থেকে ফিরেছেন। ফলশ্রুতিতে বর্তমানে উচ্চহারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘরে ঘরে অসুস্থ রোগী এবং করোনায় মৃত্যুর হাহাকার।

সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালের সাধারণ শয্যাসহ, কোভিড শয্যা ও সকল আইসিইউ শয্যা করোনা রোগীতে পরিপূর্ণ। এ অবস্থায় করোনা রোগীকে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে দৌড়াচ্ছেন রোগীর আত্নীয়স্বজন।

দেখা যাচ্ছে যে রোগীকে নিয়ে এ হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে রোগীর অবস্থা আরো করুণ আকার ধারণ করছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে করোনা হাসপাতালের তথ্যসহ সার্বিক তথ্য জানতে একটি সেন্ট্রাল হটলাইন চালুর অনুরোধ জানান সুজন।

তবে এক্ষেত্রে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালের আলাদা আলাদা হটলাইন চালু করা যায় কিনা তাও বিবেচনায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন সুজন।

হট লাইন চালু হলে রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় রোগীর আত্নীয়স্বজন ঘরে বসেই হাসপাতালের প্রকৃত তথ্য জানতে পারবেন। এতে করে রোগীকে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘোরাঘুরি করার বিড়ম্বনার অবসান হবে এবং হাসপাতালের শয্যা থাকা সাপেক্ষে রোগীর পছন্দসই হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারবেন স্বজনরা।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে সুজনের সাথে টেলিফোনে মতবিনিময় করেন। তিনি নিজেও বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্দি করেন এবং চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। করোনা চিকিৎসায় বেসরকারি হাসপাতাল মালিকরা এগিয়ে আসায় তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সুজন।

তিনি বলেন, গতবছর করোনা চিকিৎসায় বেশকিছু বেসরকারি হাসপাতাল দরজা বন্ধ করে রাখার মতো অমানবিক হয়ে উঠলেও বর্তমানে রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছেন সেটা আমাদের জন্য সুসংবাদ।

তবে চিকিৎসার নামে রোগীর আত্নীয়স্বজনদের কাছ থেকে যাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা না হয় আর যাতে অযথা হয়রানির শিকার হতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের প্রতিও অনুরোধ জানান তিনি।

এছাড়া গতবছর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং ব্যক্তি কর্তৃক আইসোলেশন সেন্টার চালু করা হলেও বর্তমানে সে উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। তাই রোগীর চাপ কমাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আইসোলেশন সেন্টার চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করার আহবান জানান সুজন।

তিনি নগরবাসীকে কোন অবস্থাতেই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার অনুরোধ জানান। এছাড়া যদি একান্তই জরুরি প্রয়োজনে বের হতে হয় তাহলে কমপক্ষে দুইটি মাস্ক পরার অনুরোধ জানান।

তাছাড়া নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সবিনয় আহবান জানান।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর