chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ব্যাটিং ব্যর্থতায় জিম্বাবুয়ের কাছে হারল বাংলাদেশ

খেলা ডেস্ক: টেস্ট-ওয়ানডে ও ১ম টি-টোয়েন্টিতে জয়ের পর হারারেতে প্রথমবারের মতো হারের মুখ দেখলো বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল স্বাগতিকরা।

সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় জিম্বাবুয়ের কাছে ২৩ রানের ব্যবধানে হেরে গেল বাংলাদেশ। অন্যদিকে বোলারদের নৈপুণ্যে সিরিজে সমতা নিশ্চিত করলো জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ হেরে গেলেও অভিষেকে আলো ছড়িয়েছেন তরুণ অলরাউন্ডার শামীম হোসেন পাটোয়ারি, যদিও তা দলকে জয় এনে দিতে পারেনি।

দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। ওয়েসলে মাধেভেরে ও রায়ান বার্লের ঝড়ো ব্যাটিং বেশ ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে।

ওপেনিংয়ে নেমে ৫৭ বলে ৭৩ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দেন ওয়েসলে মাধেভেরে। ৩ ছক্কা আর ৫ চারে মাধেভেরে সাজান তার আক্রমণাত্মক ইনিংস। ১৮ তম ওভারে তাকে ফেরান শরিফুল ইসলাম।

ক্রিজে নামার পর বার্ল ইনিংসের দেখভাল করেছেন শেষপর্যন্ত। ১৯ বলে ৩৪ রানের ছোট কিন্তু কার্যকরী ইনিংস উপহার দেন এই ব্যাটসম্যান। অপরাজিত থাকেন তিনি, হাঁকান দুটি করে চার-ছক্কা।

বাংলাদেশের পক্ষে তিনটি উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম। ৩৩ রান খরচ করলেও এবারই প্রথম পান ৩ উইকেটের দেখা। একটি করে উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান ও শেখ মেহেদী হাসান।

টার্গেটে নেমে ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ১১ ওভারেই টপ অর্ডারের ছয় ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে সফরকারীরা।

আগের দিনে টি টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে শতরানের জুটির রেকর্ড গড়া ওপেনার নাঈম শেখ আউট হন ১৪ রানে আর ১৭ রানে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার।

সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ব্যর্থ হন স্কোরের চাকা সচল রাখতে। নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের বড় সুযোগ পেয়েও মেহেদী হাসান ও নুরুল হাসান সোহান প্রতিরোধ গড়তে পারেননি।

মুজারাবানির বলে ধরা দিয়ে ৫ রানে সাজঘরে ফেরেন নাইম, একই ওভারে ৮ রান করে ফেরেন সৌম্য। ১০ বলে ১২ রানে স্পিনার মাসাকাদজার বলে ধরা দিয়ে ফেরেন সাকিব।

আর একইভাবে ৪ রান করে ক্যাচ তুলে ফেরেন রিয়াদও। পরে ছয় মারতে গিয়ে মুসাকান্দার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মেহেদী হাসান। ফেরার আগে ১৯ বলে ১৫ করেন মেহেদী। নুরুল হাসান সোহান আউট হন ৯ রান করে।

তবে ৬৮ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর জিম্বাবুয়ের বোলারদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে ওঠেন আফিফ হোসেন ধ্রুব ও অভিষিক্ত শামীম হোসেন পাটোয়ারি।

ক্রিজে এসেই ধুন্ধুমার ব্যাটিং শুরু করেন শামীম। ১৩ বলে ২৯ রান করে সাজঘরে ফেরার আগে হাঁকান ৩টি চার ও ২টি ছক্কা। শেষপর্যন্ত শামীমই ছিলেন দলের সর্বোচ্চ স্কোরার। তার বিদায়ের পর আর আশাও ফিকে হয়ে যায় টাইগারদের।

আফিফ হোসেন ধ্রুব ২৪ রান করেন ২৫ বলের মোকাবেলায়। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন সাজঘরে ফেরার আগে ১৫ বল খেলে করেন ১৯ রান। এক বল বাকি থাকতে অলআউট হলে ২৩ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জিম্বাবুয়ে।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও লুক জংওয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন। দুটি করে উইকেট পান টেন্ডাই চাতারা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।

এ জয়ে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা আনল স্বাগতিকরা। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি হবে আগামী ২৫ জুলাই।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

টস : জিম্বাবুয়ে

জিম্বাবুয়ে : ১৬৬/৬ (২০ ওভার)
মাধেভেরে ৭৩, বার্ল ৩৪*, মায়ার্স ২৬
শরিফুল ৩৩/৩, মেহেদী ১১/১, সাকিব ৩২/২

বাংলাদেশ : ১৪৩/১০ (১৯.৫ ওভার)
শামীম ২৯, আফিফ ২৪, সাইফউদ্দিন ১৯
মাসাকাদজা ২০/৩, জংওয়ে ৩১/৩

ফল : জিম্বাবুয়ে ২৩ রানে জয়ী।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর