চট্টগ্রাম নগরীতে পথে পথে চলছে গো খাদ্য বিকিকিনি
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘনিয়ে আসছে কোরবানি ঈদ। বাকি আর তিনদিন। এরমধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর পথে পথে চলছে জমজমাট গো খাদ্যের ব্যবসা। পাড়া মহল্লার অলিতে-গলিতে বিক্রি হচ্ছে গো খাদ্য। করোনার এই মহামারীতে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ব্যবসা পরিবর্তন করে মৌসুমী এ ব্যবসায় যোগ দিয়েছেন। ৩ দিনের ব্যবসায় কিছু মুনাফা ও নগরবাসীকে সেবা দেওয়া তাদের মূল লক্ষ্য।
আজ শনিবার (১৭জুলাই) নগরীর জামালখান, কোতোয়ালী, আন্দরকিল্লা, চকবাজার, চান্দগাঁও, সদরঘাট, বাংলাবাজার, দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
মৌসুমী কয়েকজন ব্যবসায়ীর জানান, নগরবাসীকে সেবা দিতে ও সামান্য কিছু মুনাফার আশায় ঈদে বাড়িতে না গিয়ে তারা এ ব্যবসা করছেন।
সদরঘাট বাংলাবাজার এলাকায় মৌসুমী গো খাদ্য বিক্রতা মুন্না বলেন, কলেজে পড়াশোনা করছি। করোনায় কলেজ বন্ধ হওয়ার পর আমরা তিন বন্ধু মিলে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গো খাদ্য বিক্রি করছি। এটাতে আমার মোটামুটি ভালোই লাভ থাকে।
এলাকাবাসী প্রায় সবাই জানেন কোরবানির তিন চারদিন আগ থেকে এখানে গো খাদ্য বিক্রি হয়। তাই এলাকাবাসীকে সেবা দিতে এ আয়োজন সব সময় থাকে। তবে গতবারের চেয়ে গো খাদ্যের দাম কিছুটি বেড়েছে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে গো খাদ্য একেক স্থানে একেক দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে যে যেভাবে পারছেন ক্রেতাদের কাছ থেকে দাম নিচ্ছেন। এতে ক্রেতাদের কোনো অভিযোগ নেই। বরং হাতের নাগালে গো খাদ্য পেয়ে তারা খুশি। এদিকে অলিতে গলিতে গো খাদ্য বিক্রি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে মৌসুমী পাইকারি গো খাদ্য ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, অলিতে-গলিতে খুচরা ব্যবসায়ী বেড়ে যাওয়া আমাদের বিক্রি নেই বললেই চলে।
দেখা যায়, গো খাদ্য আটার কুড়া কেজি ৩৫ টাকা, ধানের কুড়া (মোটা) কেজি ২৫ টাকা, ছোলার ভুসি ৬৫ টাকা, গমের ভুসি কেজি ৪৫ টাকা, খড় (ছোট) ১২০ টাকা এবং বড় আটি ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসএএস/নচ