ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিল পাকিস্তান
ডেস্ক নিউজ : ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সারির ক্রিকেট দলের কাছে ধরাশায়ী হলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের খোলস বদলে ফেলেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
যেন বদলা নেওয়ার আক্ষেপ থেকেই রীতিমতো জ্বলে উঠেছেন পাকিস্তান। শুক্রবার রাতে নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ইংল্যান্ডকে ৩১ রানে হারিয়ে সিরিজের লিড নিয়েছে দলটি।
বাকি দুই ম্যাচের একটি জিতলেই সিরিজের শিরোপা উঠবে তাদের হাতে। ওয়ানডে সিরিজে তিন ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হারার আক্ষেপটাও ঘুছবে।
শুক্রবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ছিল রেকর্ডে ভরপুর। ম্যাচে আগে ব্যাট করে বাবর আজমের দল। পূর্ণশক্তির ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমে ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে রীতিমত ঝড় তুলেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান।
দুজনের ঝড়ো পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৩২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান। জবাবে লিয়াম লিভিংস্টোনের রেকর্ড সেঞ্চুরির পরেও ২০১ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড।
৩২ রানের ব্যবধানে জয় পেয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের ১-০ তে লিড নেন পাকিস্তান। ৪১ বলের ৮ চার ও ১ ছয়ের মারে ৬৩ রান সংগ্রহ করেন পাকিস্তানের সহ-অধিনায়ক রিজওয়ান। অন্যদিকে ৪৯ বলে ৮ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর।
তাছাড়া মাত্র ৮ বলে ২৬ রান করেন ফাখর জামান, ১০ বলে ২৪ রান তুলেন মোহাম্মদ হাফিজ এবং শোয়েব মাকসুদের ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ১৯ রান। শেষের ২২ বল থেকে আরও ৫৭ রান যোগ হওয়ায় পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ২৩২ রান।
২৩৩ রানের বিশাল লক্ষ্যের জবাবে হতাশ করেন ডেভিড মালান (১), জনি বেয়ারস্টো (১১) ও মঈন আলি (১)। তবে ঝড় তোলেন জেসন রয় ও লিয়াম লিভিংস্টোন। ইনিংসের সপ্তম ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে মাত্র ১৩ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৩৪ রান করেন জেসন। তার বিদায়ের সময় ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৬.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ৮২ রান।
এরপরের গল্পটা পুরোপুরি লিভিংস্টোনের। পাঁচ নম্বরে নামা এ ব্যাটসম্যান পঞ্চাশ করেন মাত্র ১৭ বলে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যা ইংল্যান্ডের পক্ষে দ্রুততম। এরপর সেঞ্চুরি করতে তিনি খেলেন সবমিলিয়ে ৪২ বল। এটিও ইংল্যান্ডের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড।
ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি করার পর অবশ্য আর টিকতে পারেননি লিভিংস্টোন। রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরি পূরণের ঠিক পরের বলেই লং অন বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন তিনি। আউট হওয়ার সময় তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছিল ৪৩ বলে ৬ চার ও ৯ ছয়ের মারে ১০৩ রান।
মূলত লিভিংস্টোন আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিভে যায় ইংল্যান্ডের সকল আশা। শেষ পর্যন্ত ৪ বল বাকি থাকতেই ২০১ রানে অলআউট হয় তারা। বল হাতে ৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।
এদিকে শুক্রবার নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলীয় ২৩২ রানই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তানের দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করা ১ উইকেটে ২০৫ রান ছিল তাদের সর্বোচ্চ।