তিতাসে ভাতিজির লাথিতে জ্যাঠার মৃত্যু
ডেস্ক নিউজ: বাড়িতে যাওয়া আসার পথে কাঠাল গাছ রোপণ করাকে কেন্দ্র করে ষাট বছর বয়সী জ্যাঠা মোর্শেদ মিয়ার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তার অন্ডকোষে লাথি মারেন ৩০ বছর বয়সী ভাতিজি সুমি।
আর এক লাথিতেই মাটিতে লুটে পড়েন মোর্শেদ। অন্যন্য স্বজনরা ওই অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক জানায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের উত্তর পাড়ায় নিহতের নিজ বাড়িতে। আজ বুধবার বিকাল আনুমানিক ৩ টায় দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার ছেলে মুকবুল হোসেন (৫৫) বাড়িতে যাওয়া আসার রাস্তার উপর একটি কাঠাল গাছ রোপণ করেছিলেন।
প্রতিবেশী মৃত খলিল মিয়ার ছেলে মো. সোহেল মিয়া (২০) তাকে বাধা দেন। তখন মুকবুল বাধা না শুনলে মোর্শেদ মিয়াকে (৬০) ডেকে আনে সোহেল।
মোর্শেদ মিয়া এসে মুকবুলকে গাছ লাগাতে নিষেধ করলে তার ভাতিজি সুমি (৩০) ক্ষিপ্ত হয়ে জ্যাঠা মোর্শেদের অন্ডকোষে লাথি মারে। মুহুর্তেই সে ডলে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়।
এসময় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গৌরীপুর নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক মোর্শেদ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছোট ভাই মহসিন বলেন, সোহেল আমার ভাইকে ডেকে নেওয়ার কারনেই আজ ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে, ভাতিজি সুমি আমার বড় ভাইকে মেরে ফেলেছে। নিহতের স্ত্রী মাহমুদার নিকট জানতে চাইলে তিনি স্বামীর শোকে কোনো কথা বলতে পারছেন না।
অপর এক ছোট ভাই মুক্তার জানান, আমি বাড়িতে ছিলাম না, আমি থাকলে এমন ঘটনা ঘটতো না। প্রতিবেশীদের কাছে শুনেছি রাস্তার উপর কাঠাল গাছ লাগাতে নিষেধ করায় মুকবুলসহ তার মেয়ে সুমি মোর্শেদকে লাথি মারলে সে মারা যায়।
আরএস/এমআই
তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে থানায় আনা হয়।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা কলেজ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত বলা যাবে। তবে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।