chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ঈদ আনন্দ যেন বিষাদে পরিণত না হয়: সুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদ আনন্দ যেন বিষাদে পরিণত না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন

আজ বুধবার (১৪ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি নগরবাসীর প্রতি এ অনুরোধ জানান।

এসময় তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই মুসলিম সম্প্রদায়কে এবারের ঈদুল আযহা পালন করতে হবে।

প্রতিদিনই এ ভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এবারের কোরবানি পালনে আমাদেরকে অবশ্যই সংযমী হতে হবে। কোরবানির নামে সামাজিক চাকচিক্য ও বিত্তবৈভবের প্রতিযোগিতা পরিহার করতে হবে।

জীবন রক্ষাকে আমাদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। করোনা সংক্রমণের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে কোরবানি পশুর হাটগুলো। তাই সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে। গরুর বাজারের জটলায় গিয়ে ঘরে ফিরে পরিবার পরিজনদের ঝুঁকিতে ফেলবেন? নাকি সুস্থ থেকে ঈদ উদযাপন করবেন।

তিনি বলেন, আমরা সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে পারি তাহলে আমরা করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পারি। সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রতিটি গরুর হাটে পর্যাপ্ত মাস্ক, সাবান এবং জীবাণুমুক্তকরণ সামগ্রী ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখতে হবে।

মাস্ক ছাড়া কোনো ক্রেতা-বিক্রেতা হাটে প্রবেশ করতে পারবে না। পশুর হাটে আগত ক্রেতাদের পরিষ্কার পানি সরবরাহ ও হাত ধোয়ার জন্য সাবানের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

সর্দি, কাশি, জ্বর বা শ্বাসকষ্ট নিয়ে কেউ হাটে প্রবেশ করতে পারবে না। শিশু, বৃদ্ধ কিংবা অসুস্থ কেউ হাটে আসতে পারবে না।

একটি পশু কিনতে ১ জন কিংবা সর্বোচ্চ ২ জনের বেশী কেউ হাটে প্রবেশ করতে পারবে না। পশুর হাটে একবারে ৫০ কিংবা ১০০ জনের অতিরিক্ত ক্রেতা হাটে প্রবেশ করতে পারবে না।

সর্বোচ্চ এক ঘন্টার মধ্যে ক্রেতাকে তাঁর চাহিদা মতো পশু ক্রয় করে হাট থেকে অবশ্যই বের হয়ে যেতে হবে। পশুর হাটে আলাদা আলাদা প্রবেশপথ ও বাহিরপথ নির্দিষ্ট করতে হবে।

কোন অবস্থাতেই একই পথ দিয়ে প্রবেশ এবং বাহির হতে পারবে না। হাটে ভিড় এড়াতে মূল্য পরিশোধ ও হাসিল আদায় কাউন্টারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। হাটে পর্যাপ্ত সংখ্যক নগদ, বিকাশ, রকেট এবং ব্যাংক ক্যাশ কাউন্টারসহ টাকা লেনদেনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

প্রতিটি পশুর হাটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে। যাতে ক্রেতা বিক্রেতাসহ সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে।

সুজন বলেন আমরা যদি এবারের উৎসব কিছুটা কোরবানী দিতে পারি তাহলে সুস্থ অবস্থায় আগামী বছরগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপন করতে পারবো।

পশুর হাট যাতে কোন অবস্থাতেই করোনা সংক্রমণের হট স্পট হতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, নিয়ম মানুন, সুস্থ থাকুন, নিজে বাঁচুন, অন্যকে বাঁচতে সহযোগিতা করুন। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন সকলের প্রচেষ্টায় আমরা এ দেশকে ক্রমশ সুস্থতার দিকে নিয়ে যেতে পারবো।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর