ডেস্ক নিউজ: চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্তে ফের রেকর্ড গড়েছে। এসময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৮৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের বিষ শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের পর আগে কখনো এক দিনে এত রোগী শনাক্ত হয়নি।
আগের দিনের তুলনায় নতুন করে মৃত্যু আরো বেড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলার নগর ও উপজেলায় মিলে নতুন করে আরো ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আগের দিনের ৮ জুলাইয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনে জেলায় সর্বোচ্চ শনাক্ত ৭১৩ জন ছিল। এদিন মৃত্যু সংখ্যা ছিল ৯ জন। এর আগে গত ৭ জুলাই সিভিল সার্জন থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে চট্টগ্রামে একদিনে করোনা সংক্রমনের রেকর্ড সংখ্যা ছিল ৬৬২ জন।
তাছাড়া আগের দিনের তুলনায় জেলায় দ্বিগুনেরও বেশি লোক মারা বিগত ২৪ ঘন্টায়। ৮ জুলাইয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনে মারা গেছেন ৯ জন।
আজ শুক্রবার (৯ জুলাই ) ভোররাতে চট্টগ্রাম জেলার করোনা সম্পর্কিত এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
জেলা সিভিল সার্জন বলেন, চট্টগ্রামের ৯টি ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টসহ গত ২৪ ঘন্টায় মোট ২ হাজার ১শ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের ৫১০ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ২৭৩ জন রয়েছেন।
চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ৬শ ৯৬ জন। মোট শনাক্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর ৪৯ হাজার ২৮২ জন। আর জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১৪ হাজার ৪শ ১৪ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে যে ১০ জন মারা গেছে তাদের মধ্যে দুজন চট্টগ্রাম নগরের এবং বাকি ৮ জনই জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
করোনা আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট ৭৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮৮ জন চট্টগ্রাম নগরের। আর বিভিন্ন উপজেলায় মারা গেছেন ২৬৬ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলা পর্যায়ে যারা আক্রান্ত হয়েছেন এর মধ্যে সর্বোচ্চ হাটহাজারীর ৪৩ জন, সীতাকুণ্ডের ৪২ জন, মিরসরাইতে ৩৭ জন, রাউজানে ২৮ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ২৩ জন, ফটিকছড়িতে ২০ জন, আনোয়ারায় ১৯ জন, পটিয়ায় ১৬ জন, সন্দ্বীপে ১৫ জন, সাতকানিয়ায় ১২ জন, বাঁশখালীতে ০৭ জন, লোহাগাড়ায় ০৫ জন, চন্দনাইশে ০৩ জন ও বোয়ালখালীতে ০৩ জন রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ১৭২ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১০৭ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে।
এদিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের করোনা নমুনা পরীক্ষা হয়নি। তাছাড়া চট্টগ্রাম ভেটেনারি ও এনিম্যাল সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৭৫ জন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৭৬ জন ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৬৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ল্যাব এ ১৭ জন, এন্টিজেন টেস্ট এ ১৮৯ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। এদিন মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১৮ জনের পজেটিভ রিপোর্ট আসে।
এছাড়া শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ৪২ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। তবে এদিন ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়নি।