chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

টিকটক-বিগো-পাবজি-লাইকি বন্ধে হাইকোর্টে রিট

ডেস্ক নিউজ: বাংলাদেশের সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেমসহ লাইকির মতো সবধরনের অনলাইন গেম ও অ্যাপ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) মানবাধিকার সংগঠন ল এন্ড লাইফ ফাউন্ডেশন এর পক্ষে উপরোক্ত গেমস এবং অ্যাপস গুলির ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরে জনস্বার্থে মামলাটি দায়ের করা হয়।

রিট করেছেন সুপ্রিমকোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার।

রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (ডিজি),বাংলাদেশ ব্যাংক, মোবাইল অপারেটর, বিকাশ ও নগদকে বিবাদী করা হয়েছে।

মামলায় পাবজি, ফ্রী ফায়ার, লাইকি, বিগো লাইভসহ ক্ষতিকারক সকল গেইম ও অ্যাপস অবিলম্বে নিষিদ্ধ করে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রত্যাহার করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটে উল্লেখ করা হয়, পাবজি এবং ফ্রী ফায়ার এর মত গেম গুলিতে বাংলাদেশের যুব সমাজ এবং শিশু-কিশোররা ব্যাপকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে।

যার ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিনষ্ট হচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়ে পড়ছে মেধাহীন। এসব গেমস যেন যুব সমাজকে সহিংসতা প্রশিক্ষণের এক কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে।

অন্যদিকে টিকটক, লাইকি অ্যাপস গুলি ব্যবহার করে দেশের শিশু কিশোর এবং যুব সমাজ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে এবং সারাদেশে কিশোর গ্যাং কালচার তৈরি হচ্ছে।

টিকটক অনুসারীরা বিভিন্ন গোপনীয় জায়গায় পুল পার্টির নামে অনৈতিক বিনোদন, যৌন কার্যক্রমে লিপ্ত হচ্ছে। এছাড়াও সম্প্রতি নারী পাচারের ঘটনা এবং বাংলাদেশ থেকে দেশের বাহিরে অর্থ পাচারের ঘটনায়ও টিকটক, লাইকি এবং বিগো লাইভ এর মাধ্যমে চলছে যেটা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক এবং দেশের এবং জনস্বার্থের পরিপন্থী,শৃঙ্খলা পরিপন্থী মূল্যবোধের পরিপন্থী।

ফলে দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম ও লাইকির মতো সবধরনের অনলাইন গেম ও অ্যাপ বন্ধে সরকারকে নির্দেশনা দিতে আর্জি জানানো হয়েছে।

আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, ‘এর আগে গত ১৯ জুন এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। নোটিশ পাওয়ার পরেও কোনো ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তাই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এগুলো বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর