chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে ১৪০ মি.লি. বৃষ্টিতে জলজট, পাহাড় ধসের শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে শুক্রবার থেকে আজ শনিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৪০ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এ বৃষ্টিপাত পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আরও আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। ফলে পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে টানা বৃষ্টিতে নগরের অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। জলজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে জনসাধারণকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিধ হারুন উর রশিদ চট্টলার খবরকে বলেন, রোববার পর্যন্ত টানা বৃষ্টিপাত থাকবে। বিকেলের দিকে আবহাওয়া কিছুটা ভালো হতে পারে। এখন পর্যন্ত দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোর জন্য কোনো সর্তকর্তা সংকেত না থাকলেও, নন্দীবন্দরগুলোর জন্য এক নম্বর স্থানীয় সর্তকর্তা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রামে বিভিন্ন পাহাড়ের পাদশেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রতি বছরই ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসের ঝুঁকি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের পূর্বাভাসের ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক চট্টলার খবরকে বলেন, পাহাড়ে অবস্থান করা বাসিন্দারের সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। এর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সার্বিক বিষয়গুলো মনিটিরিংয়ে রাখা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মৌসুমী বৃষ্টির কারণে নগরের দুই নম্বর গেইট, মুরাদপুর, ষোলশহর, প্রবর্তক মোড়, আগ্রাবাদ, এক্সেস রোড, বাকলিয়া, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, বহদ্দারহাট, হালিশহরসহ নগরের বেশ কিছু এলাকায় হাঁটু পরিমাণ পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

ক্রমশ বৃষ্টিতে এসব এলাকার পানি বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়া সড়কে চলাচলকারী গণপরবিহনের সংখ্যা কমে এসেছে। ফলে ভোগান্তি মাথায় নিয়ে শ্রম ও কর্মজীবী মানুষদের ছুটতে হচ্ছে কর্মস্থলে।

নগরের মুরাদপুরে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা সো. সেলিম। তিনি চট্টলার খবরকে বলেন, বর্ষার বৃষ্টিপাত আমাদের জন্য আশীর্বাদের চেয়ে অভিশাপ বেশি। প্রতি বছর বৃষ্টি হলে মুরাদপুর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার রেওয়াজ হয়ে গেছে। এক ঘণ্টার বেশি সময় অপেক্ষা করেও গাড়ি পাচ্ছি না। বাড়তি ভাড়া দিলেও গাড়িগুলো যাত্রী নিতে চাইছে না। এসব দেখার কেউ নেই?

ফোরকান এলাহি নামে এক পথচারীর সাথে দুই নম্বর গেইট এলাকায় কথা হলে তিনি বলেন, বৃষ্টি হলে পানির নিচে ডু্বে যায় দুই নম্বর গেইট। আজকেও দুই নম্বর গেইটে পানি জমে থাকায় কর্মস্থলে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এমন জলাবদ্ধতার ভোগান্তি আর কতদিন সহ্য করতে হবে?

আরকে/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর