chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে ২ জনের দেহে ভারতীয় ধরন শনাক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামে দুই করোনা রোগীর দেহে ভারতীয় (ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট) প্রকরণের খবর জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একদল গবেষক। একইসঙ্গে গবেষক দলটি ধারণা করছেন চট্টগ্রামে ভারতীয় প্রকরণের কমিউনিটি সংক্রমণ প্রাথমিকভাবে শুরু হয়েছে।

বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সতর্কতামুলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। অন্যতায় পরিস্থিতি ভারতের মতো ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করছেন গবেষক দলটি।

সোমবার (১৪জুন) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে গবষেক দলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্যের কথা তুলে ধরেন।

বিশ্ববিদ্যালযের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ এবং ঢাকার আই. সি.ডি.ডি.আর বি’র যৌথ গবেষণা কাজ পরিচালনা করছেন।

বাংলাদেশ গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি) এতে অর্থায়ন করেন। গবেষণায় চট্টগ্রাম বিভাগের সাতটি কোভিড-১৯ সনাক্তকরণ ল্যাব এবং হাসপাতালের ৪২ টি নমুনা পরীক্ষা করেন।

চট্টগ্রামে ২ জনের দেহে ভারতীয় ধরন শনাক্ত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) গবেষক দলের প্রতিনিধিরা।

সংগ্রহ করা নমুনায় ২ টিতে ভারতীয় প্রকরণ (ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট), ৩ শতাংশ নাইজেরিয়া প্রকরণ (ইটা ভ্যারিয়েন্ট), ৪টি যুক্তরাজ্যের (আলফা ভ্যারিয়েন্ট) এবং ৩৩টি নমুনায় (বিটা ভ্যারিয়েন্টে) অস্তিত্ব পান।

গবেষকরা জানান, ভারতীয় প্রকরণ পাওয়া দুইজনের কেউ সম্প্রতি ভারতে যাননি এবং ভারত ফেরত রোগীর সংস্পর্শে আসেননি। এই থেকে গবেষকরা দলরা চট্টগ্রামে ভারতীয় প্রকরণ শুরু হওয়ার ধারণা করছেন।

গবেষণার সহয্গেী গবেষক ও চট্টগ্রাম কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ সুযত পাল বলেন, ডিএনও সিয়োয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের প্রকরণ বিশ্লেষণ কারগরী বেশ চ্যালেঞ্জিং এবং ব্যয়বহুল।

গবেষক দলের আরেক সদস্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট ড. লায়লা খালেদা বলেন, করোনার পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এসময় নতুন করে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের ভারতীয় প্রকরণটি সনাক্ত হওয়ার বিষয়টি খুব উদ্বেগজনক। এখনই সতর্ক না হলে সংক্রমণ কমানোর বিষয়টি অনিশ্চয়তার দিকে চলে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ফাংশনাল জিনোমিক্স অ্যান্ড প্রোটিওমিক্স ল্যাবরেটরি’র প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-ফোরকান বলেন, প্রতি সপ্তাহে আমাদের নমুনা সংগ্রহ চলছে। বর্তমানে সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করা নমুনার প্রকরণ বিশ্লেষণের পাশাপাশি ভাইরাসের সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সের কাজ চলছে। এর সঙ্গে নতুন কোন মিউটেশন হচ্ছে কিনা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

আরকে/এএমএস/চখ

এই বিভাগের আরও খবর