chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

কমেছে মুরগীর দাম, অপরিবর্তিত রয়েছে সবজির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : লকডাউন ও রমজানকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের বাজারে মুরগীর দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে সবজির দাম।

শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) সকালে নগরীর বহদ্দারহাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দাম অনেকাংশে অপরিবর্তিত থাকলেও কমেছে মুরগীর দাম। তবে বাজারে রয়েছে ক্রেতা সংকট। বাজারে পর্যাপ্ত পণ্যের সরবরাহ থাকলেও নেই খুব একটা ক্রেতাদের আনাগোনা।

বাজারে শসা ও গাজর কেজিপ্রতি ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। করোলা ও টমেটো উভয়ই বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬০ টাকা করে।

এছাড়াও বাজারে বাঁধাকপি, চিচিঙাসহ অন্যান্য বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকারও বেশি দামে। লেবু হালি ৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

মাসের শুরুতে ফার্মের মুরগী ১৫৫ টাকা করে বিক্রি হলেও তা এখন কমে ১৩৫ করে বিক্রি হচ্ছে, সোনালী মুরগী ৩০০ ছুঁইছুঁই দাম এখন কমে ২৭০ টাকায় নেমেছে, লেয়ার মুরগীর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩০ টাকায় তবে দেশি মুরগী ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়।

বাজারের মুরগী ব্যবসায়ী সলিম চট্টলার খবরকে বলেন, ‘দাম কমলে ক্রেতাদের জন্য ভালো তবে এখন দাম কমার পরেও ক্রেতা নেই বাজারে।

রমজান আসার পর থেকে লকডাউনের কারণে পর্যাপ্ত ব্যবসা আমাদের হচ্ছেনা।’

মাছের বাজারে তেলাপিয়া মাছ ২০ টাকা কেজিতে বেড়ে ১৪০ টাকা এবং রুই মাছ ২০ টাকা কমে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেশিরভাগ মাছের দাম ২০-২৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা।

রমজানে মসুর ডাল, ছোলা ও চিনির চাহিদা রমজানে থাকে ঊর্ধ্বমুখী।

এগুলো প্রতিটি পণ্য বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৭০, ৬৫ ও ৭০ টাকায়। একই ধাঁচের দোকানগুলোতেই রসুন ১১০ টাকা, আদা ১০০ টাকা ও পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে রমজানে ক্রেতা সংক্ট দেখা দিলেও দাম ধীরেধীরে কমতে শুরু করেছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। মিনিকেট ও বাসমতি সিদ্ধ ৫০ কেজির বস্তা ২৯৫০ টাকায়, জিরাশাইল ২৭৫০ ও পাইজাম ১৪৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের ব্যবসায়ী নাজিম চট্টলার খবরকে বলেন, ‘দাম কমে যাচ্ছে, ধীরেধীরে তা আরো কমবে। তবে ক্রেতা নেই বাজারে। ক্রেতা না থাকলে তো আমাদেরও আয় নাই।’

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হলেও বহদ্দারহাট বাজারে এমন দৃশ্য চোখে পড়েনি। তবে দেশের সবপ্রান্তেই বাড়তি রয়েছে তরমুজের দাম। বহদ্দারহাট বাজারে প্রতিটি তরমুজ ২৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারের ক্রেতা সুমন বলেন, ‘খুব বেশি আয় এখন আমাদের নেই।

উল্টো আয় কমে গেছে। এখন সেভাবে পছন্দের পণ্য কেনার সুযোগও পাচ্ছিনা। আমাদের মত সাধারণ মানুষদের দেখার মত কেউ অবশিষ্ট নেই।
বাজারের পরিস্থিতি অনুযায়ী ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের মাঝেই দেখা দিয়েছে চরম হতাশা।

দুপক্ষ-ই তাদের জায়গা থেকে প্রকাশ করেছে অসন্তোষ।

ইনি/এএমএস/চখ

এই বিভাগের আরও খবর