chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ফটিকছড়ির ৪০ ইটভাটায় চারদিন ধরে বন্ধ ইট বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফটিকছড়ি উপজেলার প্রায় ৪০টি ইটভাটায় ইট বিক্রি বন্ধ রয়েছে। ইটভাটার ছাড়পত্র নবায়ন না করা ও শুধুমাত্র চট্টগ্রাম অঞ্চলের ইটভাটার বিরুদ্ধে মামলার কারণে চট্টগ্রাম ইট প্রস্তুত মালিক সমিতির ডাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইট বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এতে স্থবিরতা নেমে এসেছে উপজেলার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে। বেকার হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন ইটভাটায় বিভিন্ন কাজে জড়িত শ্রমিকরা।

চট্টগ্রাম ইট প্রস্তুত মালিক সমিতির অনেক নেতাই বলেছেন সারাদেশে ইটের ভাটা রয়েছে। তবে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম অঞ্চলের ইটের ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। যা অনেকটা এ অঞ্চলের উন্নয়ন কাজে প্রতিবন্ধকতার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা।

উপজেলার ইটভাটা সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ইট তৈরির মৌসুম চলছে এখন। সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ ছাড়াও উপজেলার অভ্যন্তরীণ উন্নয়নকাজে এসব ইটের ভাটা থেকে ইট সরবরাহ করা হয়।

ইট বিক্রি বন্ধ থাকায় এসব কাজে স্থবিরতা নেমে এসেছে। ইট বিক্রেতাদের ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে এর প্রভাব পড়বে চলতি অর্থবছরের উন্নয়নমূলক কাজে।

চট্টগ্রাম ইট প্রস্তুত মালিক সমিতির আহবায়ক ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, আমাদের জন্ম বৈধভাবেই হয়েছে। সময়ের পরিবর্তনে ইটভাটা আইন হয়েছে। শুরুতে ড্রাম চিমনির ইটের ভাটায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিয়েছে।

পরবর্তীতে বলা হলো চিমনি ১২০ ফুট করতে হবে। তাও করা হলো। এরপর বলা হলো জিগজাগ ইটের ভাটা করতে হবে। তাও করা হলো। হঠাৎ করে আইনের সংস্কারে ২০১৬ সাল থেকে আমাদের ছাড়পত্র মিলছে না। সারাদেশে একই অবস্থা। কিন্তু শুধুমাত্র চট্টগ্রামের ইটের ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, একটি ইট ভাটায় বিভিন্ন কাজের তিন থেকে চারশো শ্রমিক জড়িত। প্রতিটি ইটের ভাটায় গড়ে প্রায় ১০ হাজার ইট বিক্রি হয়। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সংস্থায় যে দরপত্র দেয়া হয় (যেখানে ইটের কাজ থাকে) তার শিডিউল তৈরি করা হয় ইটের মূল্যের উপর।

চলতি অর্থবছরে চট্টগ্রামের ১৬ উপজেলায় যে পরিমাণ উন্নয়নমূলক কাজ চলছে তাতে ৩০ কোটির বেশি ইট লাগবে। প্রতিবছর একেকজন ইট ভাটার মালিক ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা রাজস্ব দিয়ে থাকেন। কিন্তু আইনি প্রতিবন্ধকতার কারণে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি।

উপজেলা কমিশনার (ভূমি) জিসান বিন মাজেদ বলেন, ফটিকছড়িতে ৪০টি ইটভাটা থাকলেও কয়েকটি বন্ধ রয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে এ পর্যন্ত ৭টি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোও উচ্ছেদে অভিযান চালানো হবে।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর