chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইট বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : অনির্দিষ্টকালের জন্য ইট বিক্রি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা ইটভাটা মালিক সমিতি।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইট বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেন জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির আহবায়ক ইসমাঈল হোসেন।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ৬লাখ শ্রমিক কাজ করছে চট্টগ্রামের ৫০০ ইটভাটায়। কিন্তু কোনোপ্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ইটভাটাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। মালিক-শ্রমিক উভয়পক্ষের জন্য তা খুব-ই দুঃখজনক। ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে এই খাতে।

তিনি আরো বলেন, ‘ইটভাটা বন্ধের এমন ঘোষণার প্রতিবাদে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ইট বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

প্রতিবাদ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণ করা হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং ১ মার্চ চট্টগ্রাম জেলার ইটভাটা শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে মানববন্ধন হবে বলে জানিয়েছেন ইসমাইল।

এর পূর্বে পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) অবৈধ ইটভাটা বন্ধে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করে। গত বছরের ১৪ই ডিসেম্বর ওই রিটের শুনানিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই গড়ে ওঠা সব ইটভাটা সাত দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। পাশাপাশি যেসব ইটভাটা কাঠ ও পাহাড়ের মাটি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে তাদের তালিকা দেয়ারও নির্দেশ দেয় আদালত।

এরই প্রেক্ষিতে, অবৈধ সকল ইটভাটা চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি বন্ধ করে চট্টগ্রাম প্রশাসন ও সেখানকার পরিবেশ অধিদপ্তরকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয় ১৮ জানুয়ারির মধ্যে।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত) ২০১৯ এর ৪ ধারা অনুযায়ী, কোনো ইটভাটা লাইসেন্স ছাড়া চালানো যাবে না। এর ব্যত্যয় হলে আইনের ১৪ ধারা অনুসারে ২ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

কিন্তু এ নিয়ম উপেক্ষা করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে উঠেছে অসংখ্য লাইনসেন্সবিহীন ইটভাটা। এই ইটভাটা গুলোর মধ্যে ১৮২ টিতেই কাঠ ও পাহাড়ি মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। জ্বালানি হিসেবে।

ইনি/চখ/এএমএস

এই বিভাগের আরও খবর