chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

১১৩ রানে পিছিয়ে থেকে অলআউট বাংলাদেশ

খেলা ডেস্ক: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১১৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৯৬ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। লিটন-মিরাজের আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং দেখে একটা সময় মনে হচ্ছিল ক্যারিবীয়দের প্রথম ইনিংসে গড়া ৪০৯ রানের কাছাকাছিও যাওয়া সম্ভব। কিন্তু সেই স্বপ্ন ভেঙেছে লিটনের আউটের পরই।

সপ্তম উইকেটে ১২৬ রানের জুটি গড়ে লিটন সাজঘরে ফিরেছেন রাহকিম কর্নওয়ালের শিকার হয়ে। সেই ধাক্কায় ৯ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। ইনিংসের ৯২তম ওভারে কর্নওয়াল লিটনের পর ফিরিয়েছেন নাঈম হাসানকেও।

লিটন ১৩৩ বলে ৭ বাউন্ডারিতে করেন ৭১ রান। পরের ওভারে শেনন গ্যাব্রিয়েলের শিকার হন জুটির আরেক সঙ্গী মেহেদি মিরাজও। ১৪০ বলে ৬ বাউন্ডারিতে সাজানো তার ইনিংসটি ছিল ৫৭ রানের। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আলজেরি জোসেফ তুলে নিয়েছেন আবু জায়েদকে (১)। ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন তাইজুল ইসলাম।

৯৬.৫ ওভারে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেমেছে ২৯৬ রানে। প্রথম ইনিংসে ক্যারিবীয়দের থেকে ১১৩ রানের বড় ব্যবধানেই পিছিয়ে রয়েছে মুমিনুল হকের দল।

টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে প্রথম দিন বাংলাদেশ করেছিল ৪ উইকেটে ১০৫ রান। মাত্র ৭১ রানে চতুর্থ উইকেট পতনের পর ফলোঅনের শঙ্কা দেখা দিলেও শেষ বিকেলে আশা দেখান মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিকুর রহীম। তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দিন শেষের ২০.১ ওভারে কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। আশা ছিল দ্বিতীয় দিনও তারা এ ধারা বজায় রাখবেন।

আজকের (শনিবার) সকালের শুরুটাও দারুণ করেছিলেন মিঠুন ও মুশফিক। দিনের প্রথম ওভার থেকেই রানের খাতা সচল রেখে খেলতে থাকেন তারা। কিন্তু হুট করেই রাহকিম কর্নওয়ালের স্পিনে ছন্দপতন, ১৩ রানের ব্যবধানে মুশফিক-মিঠুনের বিদায়ে ফের বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।

দিনের দশম ও ইনিংসের ৪৬তম ওভারের প্রথম বলটি আলতো করে লেগসাইডে খেলার চেষ্টা করেছিলেন মিঠুন। কিন্তু বল তার ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে চলে যায় শর্ট মিডউইকেটে। দারুণভাবে সেই বলটি তালুবন্দী করেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েট। সমাপ্তি ঘটে মিঠুনের দুই বাউন্ডারির মারে খেলা ৮৬ বলে ১৫ রানের ইনিংসের।

মিঠুন ফেরার আগেই ক্যারিয়ারের ২২তম ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন মুশফিক। তবে হাফসেঞ্চুরির পর তেমন উদযাপন করেননি তিনি, ব্যাটটাও ওপরে তুলেননি, শুধু ড্রেসিংরুমের অভিবাদনের জবাবটা দিয়েছিলেন হাত উঁচিয়ে। মুশফিক যেন বোঝাতে চেয়েছিলেন, ফিফটিতেই শেষ হয়ে যায়নি তার কাজ।

কিন্তু তার খেলায় দেখা গেল এর পুরোপুরি ভিন্ন চিত্র। কর্নওয়ালের বলে সুইপ করতে গিয়ে অল্পের জন্য লেগ বিফোরের হাত থেকে বেঁচে যান তিনি। এরপর তার ব্যাট ছুঁয়ে যাওয়া একটি বল বেরিয়ে যায় লেগস্লিপের একদম পাশ দিয়ে। শর্ট কভারে দাঁড়ানো কাইল মায়ারসের হাতে অপমৃত্যু ঘটে মুশফিকের ৫৪ রানের ইনিংসের।

১৫৫ রানে নেই ৬ উইকেট। ঢাকা টেস্টে ফলোঅন এড়াতে তখনও ৫৫ রান দরকার বাংলাদেশের। ব্যাটিং ধস থামাতে না পারলে সেটাও সম্ভব বলে মনে হচ্ছিল না। তবে লিটন দাস আর মেহেদি হাসান মিরাজের দায়িত্বশীলতায় ফলোঅন এড়িয়েছে টাইগাররা।

ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল রাহকিম কর্নওয়াল। ৭৪ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়েছেন এই অফস্পিনার।

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর