chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সরকারি কর্মচারীদের ৭ দফা দাবি, আন্দোলনের হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সকল কাজ করার পরও বেতন-ভাতা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন সরকারি কর্মচারীরা। সরকারি কর্মকর্তাদের মতো কর্মচারীদের বেতন স্কেল বাড়ানোসহ ৭ দফা দাবি পূরণ না হলে আন্দোলনে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তারা।

আজ শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি সমাবেশে এ দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদ ও বাংলাদেশ সরকারি কল্যাণ ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সাইফলু ইসলামের সভাপতিত্বে বিভাগীয় প্রতিনিধি সমাবেশে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদের সভাপতি মো. নিজামুল ইসলাম ভূইয়া (মিলন), মহাসচিব মো. আমজাদ আলী খান, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. ওয়ারেছ আলী, সাধারণ সম্পাদক খায়ের আহমেদ মজুমদার।

এসময় বক্তারা ৭ দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো-

১. জাতীয় স্থায়ী বেতন কমিশন গঠন করে ১০ ধাপ বিশিষ্ট নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের পার্থক্য ১:৫ হতে হবে। আগের মত ১০০ শতাংশ পেনশন প্রথা পুনর্বহাল করতে হবে।

২. এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি চালুসহ সচিবালয়ের মত সচিবালয়ের বাইরের সরকারি কর্মচারীদের পদ ও বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে। ব্লক পদধারীদের পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

৩. আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করে এ পদ্ধতিতে নিয়োগ করা কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। বিভিন্ন দফতর প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন খাতে কর্মরত কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। ডাক বিভাগের প্রার্থী প্রথা চালুসহ মাস্টাররোল ও অন্যান্য দফতরে কর্মরত মাস্টাররোল কন্টিজেন্ট ও ওয়ার্কচার্জ কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে।

৪. সরকারি কর্মচারীদের আগের মত তিনটি টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড ও বেতন সমতাকরণ পুনর্বহাল করতে হবে। জীবনযাত্রার মান স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে ও টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয় বিবেচনা করে পেনশনের হার ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ ও গ্র্যাচুইটির হার এক টাকায় ২৩০ টাকার স্থলে ৪০০ টাকায় উন্নীত করতে হবে।

৫. নবম পে-স্কেল দেয়ার আগ পর্যন্ত দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি বিবেচনা করে ৫০ শতাংশ মহার্ঘভাতা অবিলম্বে দিতে হবে।

৬. প্রশাসন ক্যাডারে কর্মচারীদের মত ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের সরকারি কর্মচারীদের বিনা সুদে ৩০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা গৃহনির্মাণ ঋণ দিতে হবে।

৭. চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মতো অন্যান্য সকল দফতরে পোষ্য কোটা চালু করতে হবে।

প্রতিনিধি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মো. আশরাফুল ইসলাম, মো. মাহবুব আরেফিন, আবদুল মতিন, শেখ মোহাম্মদ ফরিদ, সাইফুল ইসলাম, আবুল মনসুর, বেলাল উদ্দিন, মো. হানিফ, সানাউল্লাহ, তোফায়েল উদ্দিন, মো. মাসউদ মিয়া, দুলন রঞ্জন দে, আব্দুল মান্নান ও ফরিদ আহমেদসহ প্রমুখ।

এসএএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর