chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

নির্মাতা আমজাদ হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ডেস্ক নিউজ: কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার, প্রযোজক, নাট্যকার, গীতিকার, সুরকার, লেখক ও অভিনেতা আমজাদ হোসেনের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৮ সালের আজকের এই দিনে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এ উপলক্ষে তাকে স্মরণ করে তার নিজ জন্মভূমি জামালপুরে এক শোকর‌্যালির আয়োজন করা হয়েছে। আমজাদ হোসেন চর্চা কেন্দ্র, জামালপুরের উদীচী, খেলাঘরসহ ৭০টি সংগঠনের অংশগ্রহণে এ শোক র‌্যালিটি সকাল ১১টায় তামালতলা মোড় থেকে শুরু হয়ে আমজাদ হোসেন শায়িত পৌর কবরস্থানে গিয়ে শেষ হবে। এ সময়  শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে আমজাদ হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। দিনব্যাপী কোরআনখানি ও বাদ আসর মিলাদ এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে এসব সংগঠনের পক্ষ থেকে। সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে আমজাদ হোসেন স্মরণসভা। তার জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করবেন গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ঘনিষ্ঠজন। এ ছাড়াও এদিন আমজাদ হোসেনের প্রিয় কর্মস্থল রাজধানীর বিএফডিসিতে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উদ্যোগে আমজাদ হোসেন স্মরণসভা, মিলাদ মাহফিল ও তবারক বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট জামালপুরে জন্ম নেয়া আমজাদ হোসেন চলচ্চিত্রে এসেছিলেন অভিনয়ের মাধ্যমে। ১৯৬১ সালে ‘তোমার আমার’ নামে একটি ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। পরবর্তীতে মনোনিবেশ করেন চিত্রনাট্য রচনা ও চলচ্চিত্র পরিচালনায়। ‘আগুন নিয়ে খেলা’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই ভাই’, ‘পিতা পুত্র’ ‘নয়নমনি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘ভাত দে’র মতো ছবিগুলো নির্মাণ করে তিনি ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।

এতসব অনবদ্য সৃষ্টির জন্য বহু পুরস্কৃতও পেয়েছেন আমজাদ হোসেন। ১২ বার জিতেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এর মধ্যে আছে শ্রেষ্ঠ পরিচালক, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার, শ্রেষ্ঠ গীতিকার, শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা, শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার ও শ্রেষ্ঠ প্রযোজকের পুরস্কার। এছাড়া তার ঝুলিতে ছয়টি বাচসাস পুরস্কার, একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারও রয়েছে। এমন একজন কিংবদন্তিকে হারানোর শুন্যতা চিরকালই অনুভব করবে বাংলা চলচ্চিত্র।

নচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর