রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে হঠাৎ বাসে আগুন
জাতীয় ডেস্ক : হঠাৎ করেই রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বেশ কয়েকটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেলের মধ্যে পৃথক পৃথক এলাকায় এসব বাসে আগুন দেওয়া হয়।
শাহবাগ, প্রেসক্লাব, গুলিস্তান, মতিঝিল, নয়াবাজার, ভাটারা, শাহজাহানপুরসহ ৯টি স্থানে ৯টি বাসে আগুন দেওয়ার তথ্য প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেলেও ফায়ার সার্ভিস জানায়, ছয়টি বাসে এবং পুলিশ জানায় পাঁচটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে পৃথক এসব ঘটনায় কোথাও কেউ হতাহত হয়নি বলে তারা জনিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায় বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কাঁটাবন, গোলাপশাহ মাজার, বংশালের নয়াবাজার, শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে, মতিঝিলের মধুমিতা সিনেমা হলের সামনে এবং নয়াপল্টনের আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারের সামনেসহ মোট ছয়টি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণকক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল আহমেদ বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসব ঘটনায় কোথাও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে কাঁটাবনে বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। বেলা দেড়টার আগে এসব ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে কাঁটাবনের ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দেড়টার দিকে দেওয়ান পরিবহনের বাসটি যানজটের কারণে গতি কমাচ্ছিল। তখনই পেছন দিক থেকে ধোঁয়া ওঠা শুরু হয়। বাসের যাত্রীরা দ্রুত নেমে পড়েন। আগুনে প্রায় পুরো বাসই পুড়ে গেছে। পরে পুলিশ এসে রেকার দিয়ে গাড়িটি নিয়ে যায়। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে, তা তারা দেখেননি।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মামুন আর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেন, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা কাঁটাবন এলাকায় বাসে আগুন দিয়েছে৷ এতে কেউ হতাহত হননি৷ এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে৷
পুলিশের মতিঝিল জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, মতিঝিল ও পল্টনসহ মোট ৫টি বাসে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছিল। এর মধ্যে একটি ভ্যাট/ট্যাক্স অফিসের স্টাফ বাস, একটি অগ্রণী ব্যাংকের স্টাফ বাস ছিল। পল্টনে একটি পাবলিক বাস ও আরেকটি বিআরটিসির গাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন স্থানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
চখ/আর এস