chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

হাইব্রিড কাউয়াদের রুখতে হবে: নঈম উদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর চিন্তা চেতনা যাতে বাস্তবায়ন না হয় সে জন্য হাইব্রিড বা কাউয়ারা অপচেষ্টা করছে, তাদের রুখতে হবে। সব কিছু যদি প্রধানমন্ত্রীকে করতে হয়, তাহলে এত মন্ত্রী এমপি’র দরকার কি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কোন মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর উপর নির্ভর করেই শুধু মন্ত্রণালয় চালাননি। বঙ্গবন্ধুর আমলে জহুর আহমদ চৌধুরী যোগ্য ছিলেন বলেই চারটি মন্ত্রণালয় সফলতার সাথে চালিয়েছেন।

৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে সোমবার (২ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চেরাগী পাহাড়স্থ “সুপ্রভাত স্টুডিও” হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী বিজয় কিষাণ চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইয়াছির আরাফাত।

সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।

প্রধান আলোচক সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন-জাতীয় চারনেতার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানাতে হাইব্রিড ঠেকাতে হবে। স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র বিরোধী শক্তিকে চেতনার শক্তি দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। এটি এখন নাগরিক দায়িত্ব।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতা মুহাম্মদ ঈছা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর ৩ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে।

‘কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতা হত্যাকান্ড ছিল জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতা। এ ঘৃণ্য হত্যাকান্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, দেশবিরোধী চক্র বাংলার মাটি থেকে আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।’

অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, একাত্তরের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা সেদিন দেশ মাতৃকার সেরা সন্তান জাতীয় চার নেতাকে শুধু গুলি চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, কাপুরুষের মতো গুলিবিদ্ধ দেহকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে একাত্তরের পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিল। প্রগতি-সমৃদ্ধির অগ্রগতি থেকে বাঙালিকে পিছিয়ে দিয়েছিল।

‘ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এ ধরনের হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা সুমন দেবনাথ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য সাবরিনা চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সংগঠক অচিন্ত্য কুমার দাশ, সজল দাশ, রতন ঘোষ, হানিফুল ইসলাম চৌধুরী, রোখন উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক নাছির উদ্দিন কুতুবী, জালাল আহমদ রানা, ছাত্রনেতা ইমতিয়াজ আইয়াজ প্রমুখ।

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর