chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে: অর্থমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ: বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ আয়ের দেশের সুনাম অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

বিশ্ব ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সভা-২০২০ এর অংশ হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল ও আইএফসি’র চিফ অপারেটিং অফিসার স্টিফানি ফন ফ্রিডবার্গের নেতৃত্বে আইএফসি প্রতিনিধি দলের মধ্যে ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সভায় বিশ্ব ব্যাংকে বাংলাদেশের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল আলম, অর্থবিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন অংশ নেন।

অন্যদিকে, আইএফসি’র এশিয়া প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট আলফোনসো গার্সিয়া মোরা এবং বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ডিসেক্টর ওয়েন্ডি ওয়ার্নার আলোচনায় অংশ নেন।

সভার শুরুতে অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে অব্যাহত সহযোগিতার মাধ্যমে সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আইএফসির অবদানের প্রশংসা করেন। এ ছাড়া কোভিড -১৯ এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদস্য দেশগুলোকে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেওয়ার সাম্প্রতিক উদ্যোগের জন্যও ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায় অনুযায়ী কোভিড-১৯ এর টিকা আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে অত্যন্ত আগ্রহী এবং বদ্ধপরিকর। তাই এ বিষয়েও আইএফির করণীয় নিশ্চিতে আহ্বান জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কোভিড -১৯ নির্বিচারে বিশ্ব অর্থনীতি ও মানবজীবন হুমকীর সম্মুখীন করেছে, বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ আয়ের দেশের সুনাম অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

‘বাস্তসম্মত ও সময়োপযোগী উদ্যোগ নেওয়ার মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি। উদ্যোগগুলির মধ্যে জিডিপির ৪.৩ শতাংশ সমতুল্যের ১৪.১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ অন্যতম।’

তিনি বলেন, গত বছর লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে বিশ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের বন্ড জারি করতে আইএফসির সহায়তা এবং সহযোগিতায় বিশ্বে প্রথমবারের মত প্রাথমিক ভিত্তিতে ৮০৭ মিলিয়ন টাকা (৯.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) সমপরিমাণ বাংলাদেশি ‘টাকা বন্ড’ চালু করা হয়েছিল, যা আগামী এক বছরে প্রায় ৮৫ বিলিয়ন টাকা (১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) মূল্যমানের বন্ডে উন্নীত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিল আইএফসি।

‘এটি বাংলাদেশের জন্য একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত ছিল কারণ এটি আন্তর্জাতিক বাজারে জারি করা প্রথম বাংলাদেশি টাকা বন্ড। পরবর্তীতে করোনার কারণে এটি কিছুটা স্তিমিত হয়ে গেলেও আশা করা যায় এখন আবার আইএফসি এ খাতটি সমৃদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’

আইএফসি-কে বাংলাদেশকে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বিশেষত মহামারি দ্বারা আক্রান্ত হওয়া বেসরকারি খাতকে প্রণোদিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি আইএফসিকে সুদের হার কমানোর অনুরোধ করছি যাতে বেসরকারি খাত স্বল্প সময়ের মধ্যেই উজ্জীবিত হতে পারে।

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর