সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
ডেস্ক নিউজ : ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে দেশের জনপ্রিয় পর্যটন স্পট সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপে। সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞার পরিপত্রটি জারি করা হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কোস্ট গার্ডকে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে সেন্টমার্টিনের দায়িত্বরত কোস্টগার্ড এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করে। ফলে এখন থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়া সম্ভব হলেও ছেড়াদ্বীপ ভ্রমণ করা যাচ্ছে না।
সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায়ও ছয় ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। ১২ অক্টোবর মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক পরিপত্রে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপ অংশে এখনো কিছু সামুদ্রিক প্রবাল জীবিত আছে। প্রবালগুলো সংরক্ষণের জন্য এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ কে এম রফিক আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, আমরা পর্যায়ক্রমে
সেন্টমার্টিন রক্ষায় সব ধরনের উদ্যোগ নেব। প্রাথমিকভাবে কোস্টগার্ডের মাধ্যমে সেখানে এসব কার্যক্রম বন্ধ করব। এ ছাড়া দ্বীপটির জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষায় আমরা যেসব কার্যক্রম চালাচ্ছি সেগুলো আরো জোরদার করা হবে।
নির্দেশনা অনুয়ায়ী, এখন থেকে সেন্টমার্টিনের সৈকতে কোনো ধরনের যান্ত্রিক যানবাহন যেমন মোটরসাইকেল ও ইঞ্জিনচালিত গাড়ি চালানো যাবে না। রাতে আলো বা আগুন জ্বালানো যাবে না। রাতের বেলা কোলাহল সৃষ্টি বা উচ্চ স্বরে গানবাজনার আয়োজন করা যাবে না। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে যাতায়াতকারী জাহাজে অনুমোদিত ধারণ সংখ্যার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। অননুমোদিত এবং অনুমোদনের অতিরিক্ত নির্মাণসামগ্রীর সেন্টমার্টিনে যাতায়াত বন্ধ করা হবে। পরিবেশদূষণকারী দ্রব্য যেমন পলিথিন ও প্লাস্টিকের বোতল ইত্যাদির ব্যবহার সীমিত করা হবে।
পরিপত্রে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পরিবেশ ও প্রতিবেশ ধ্বংসকারী কার্যক্রমগুলো বন্ধে কোষ্টগার্ডকে ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে।
এসএএস/এএমএস