chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

কর্ণফুলী নদীতে ব্যতিক্রমী সাম্পান শোভাযাত্রা

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে ব্যতিক্রমী সাম্পান শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এসময় তিন শতাধিক সাম্পান মাঝি সাম্পান নিয়ে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। অচিরেই কর্ণফুলীর দুইপাড়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ ও দূষণমুক্ত রাখতে দাবি আন্দোলনকারীদের।

শুক্রবার (৯ মে ) সকালে কর্ণফুলী রক্ষায় চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র ও কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনের কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন এ শোভাযাত্রা হয়। এতে অংশ নেয় ইছানগর সদরঘাট, চরপাথরঘাটা অভয়মিত্রঘাট, সদরঘাট ও ব্রিজঘাট সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির তিন শতাধিক সাম্পান।

এ উপলক্ষে চলছে চরপাথরঘাটা সিডিএ মাঠে বসবে চাটগাঁইয়া সাংস্কৃতিক মেলা। একসঙ্গে তিনশ সাম্পান নিয়ে সাম্পান মাঝিরা কর্ণফুলী নদীতে করেছে শোভাযাত্রা। তবে এটি ছিল না কোনো খেলার অংশ, দখল ও দূষণ থেকে নদীকে বাঁচাতে ব্যতিক্রমী এ কর্মসূচি পালন করে তারা।

নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলিউর রহমান জানান, একের পর এক দখলবাজের কবলে ও নানা রকম বর্জ্যের সংমিশ্রণে, অব্যবস্থাপনায় মরতে বসেছে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী কর্ণফুলী নদী। এর ফলে একদিকে যেমন ঘটছে পরিবেশ বিপর্যয়, মরছে নানা প্রজাতির মাছ, ভরাটের কবলে পড়ে বিঘ্নিত হচ্ছে নৌ চলাচলেও। এসব দেখবালের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা এমনভাবে আছেন যেন এই নদী মরে গেলেও কারো কিছু এসে যায় না অবস্থাদৃষ্টে এমনটিই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই কর্ণফুলী রক্ষায় পরিকল্পিত খনন করা, নদীকে অবৈধ দখলমুক্ত করা, ইজারা বন্ধ করা, ময়লা আবর্জনা না ফেলাসহ নানা দাবি জানাচ্ছি আমরা।

কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি এস এম পেয়ার আলী জানান, ২০১৪ সালে শাহ আমানত ব্রিজের নিচে কর্ণফুলীর প্রস্থ ছিল ৮৬৬ মিটার। এখন তা ৪১০ মিটারে এসে ঠেকেছে। নদীর জায়গা দখল করেছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এছাড়া ব্যক্তিগত পর্যায়েও কর্ণফুলী দখলের মহোৎসব চলছে। দূষণে এ নদীকে ধীরে ধীরে গলাটিপে মেরে ফেলা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়। এছাড়া কর্ণফুলী না বাঁচলে ঐতিহ্যবাহী সাম্পানের ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে এ নদী থেকে।

◑ ফথ|চথ

এই বিভাগের আরও খবর