রাতভর অভিযান, সকালে গ্রেফতার আইভী
অভিযান শুরুর নাটকীয় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় সেখানে তাঁর বিপুলসংখ্যক সমর্থক অবস্থান করছিলেন। গাড়িবহর নিয়ে পুলিশও ছিল সতর্ক অবস্থানে।
গ্রেপ্তার করার সময় সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘আমি তো বাড়িতেই ছিলাম, আমি তো পালাইনি। তাহলে এইভাবে আমাকে গ্রেপ্তার করতে হলো কেন?’
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আইভীকে গ্রেপ্তারের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা শহরের দেওভোগ এলাকায় তাঁর নতুন বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ খবর পেয়ে আইভীর সমর্থকেরা বাড়িটির সামনে অবস্থান নেন এবং দুটি সড়কের ১০-১৫টি পয়েন্টে বাঁশ দিয়ে অবরোধ করেন।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মো. হাসিনুজ্জামান বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে হত্যাসহ ছয়টি মামলা রয়েছে। রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে এলে সে সময় তিনি পুলিশের সঙ্গে যেতে রাজি হননি। তিনি বলেছিলেন, দিনের আলো ফুটলে যাবেন। গ্রেপ্তার প্রক্রিয়ায় তিনি সহযোগিতা করেছেন। তাঁকে জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ বিলুপ্ত করা হলে বাড়িতে অবস্থান নেন আইভী।
বছরের ১৩ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ নেয়ামুল আহসান গাজীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত থেকে ওই আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মেয়র আইভী ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দেশ ছেড়ে বিদেশে পালাতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন।
এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর আইভীর সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
◑ ফখ|চখ