chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

“বীর সৈনিক শহীদদের স্বরণে” লেখা কবিতাটি এখন আমাদের বাবার শেষ স্মৃতি

শাপলা গণহত্যার একযুগ

বাড়ি থেকে ১লিটার বোতলে চাল-ডাল ভাজা, ৫টা কলা, ৬টি রুটি ছিলো শিহাবের শেষ খাবার

২০১৩ সালের ৫মে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা অবরোধ কর্মসুচি ঘিরে মতিঝিল শাপলা চত্বরে ইতিহাসের ভয়াবহ কিলিং মিশন পরিচালনা করেছিল ফ্যাসিবাদ হাসিনা। আইনশৃ ঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের দলীয় সন্ত্রাসীরা শহরের বাতি নিভিয়ে নির্বিচারে পাখির মতো মানুষ হত্যা করেছিলো সেই ৫মে কালোরাতে । সেদিন রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াও মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, কারখানার শ্রমিক, দিনমজুর ও পরিবহন শ্রমিক নিহত হয়েছে। নিহতদের লাশ রাতের অন্ধকারেই গায়েব করে ফেলা হয় হাসিনার নির্দেশে। গ্রামে নিহতদের জানাজা পড়তে বাঁধা দিয়েছে আওয়ামীলীগ এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। “১যুগ পরও সেই ফ্যাসিবাদের কলংকিত ভয়াবহ গণহত্যায় খুনের সুবিচার পায়নি শহীদদের পরিবার”।

জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের পূর্ব ডোমখালী গ্রামের। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সীতাকুন্ড উপজেলার বগাচতর গণি উল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মিরসরাই উপজেলার আমীরের দায়িত্ব পালন করেন মাওলানা মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন নিজামী (৫২)। পরবর্তী সময়ে তিনি জামায়াতের রাজনীতির ছেড়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর কর্মী হিসেবে সকল ঘরানার আলেমদের প্রিয় হয়ে উঠেন।

মাওলানা মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন নিজামী (৫২) দাম্পত্য জীবনে ২ ছেলে ২ মেয়ের জনক ছিলেন। বড় ছেলে আবদুর রহমান শরীফ । ছোট ছেলে আবদুস সালাম ।

ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রহমান শরীফ জানান, বাবা আজীবন দ্বীনের খেদমতে নিবেদিত ছিলেন। ছাত্রজীবন, শিক্ষকতা, সংগঠনিক দায়িত্ব সবখানেই ছিলেন অকুতোভয়। তিনি সব সময় শাহাদাত কামনা করে আমাদের বলতেন, জীবনটা যদি আল্লাহর রাস্তায় শেষ না হয়, তবে সে জীবনের কী দাম আছে?।

ছোট ছেলে আবদুস সালাম জানান “বাবা সব সময় আমাদের ছবি তুলতে নিরুৎসাহিত করতেন। তাই আমাদের কাছে ১টি ছবি, বাবার লেখা একটি শহীদি কবিতা ছাড়া আর কোন স্মৃতি নেই”। কিছুদিন আগে বাবার পুরনো কাগজপত্র ঘাটতে গিয়ে বাবার হাতে লেখা কবিতাটি পেয়েছি। দেশ বিজয়ী “বীর সৈনিক শহীদদের স্বরণে” লেখা কবিতাটি এখন আমাদের কাছে বাবার শেষ স্মৃতি। ইসলামের জন্য শহীদ হওয়ার শেষ ইচ্ছা পূরণ হয়েছে আমার বাবা মাওলানা মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন নিজামীর (৫২)।

আবদুস সালাম আরো জানান, “মতিঝিল শাপলা চত্বরে গনহত্যার ১২ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, একযুগ পরেও সেই ভয়াবহ গণহত্যার এখনো কোনো সুবিচার আমরা পাইনি। শত শত আলেম ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতার রক্তে রঞ্জিত কলংকিত ইতিহাস আজও প্রশাসনিক ও বিচারিকভাবে অন্ধকারেই রয়ে গেছে”। সেদিন দলে দলে মানুষ জানাজায় অংশ নিয়ে কেঁদেছে, অশ্রু সজল নয়নে শেষ বিদায় জানিয়েছে বাবাকে।” ১২ বছর আমরা বাবার খুনীদের বিচার চাইতে পারিনি। এখন তো মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অনেক খুনের বিচার শুরু হয়েছে। আমার বাবার খুনির বিচার আমরা দেখতে চাই”।

বগাচতর নূরিয়া গনি উল উলুম ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার নুরানি বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ জানান, ৪ মে সন্ধায় মাওলানা শিহাব আমাকে ফোন করে বলেন মহিব আপনি হেফাজতের ঢাকা অবরোধ কর্মসুচিতে যাবেন কিনা আমি জানিনা। আমি কমরআলী জাহাঙ্গীর সওদাগরের দোকানে আছি। পারলে একটি সিএনজি অটোরিক্সা ব্যবস্থা করে দেন আমাকে। ঐ সময় প্রচন্ড ঝড় বাতাস চলছে, রাস্তায় কোন গাড়ি নেই। আমি সিএনজি নিয়ে গেলে শিহাব সাহেব বলেন, দারোগার হাট এবং নিজামপুর বাজারে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ গাড়ি চেক করছে। আমরা বুড়া হুজুরের এলাকা থেকে একটি লোকাল বাসে উঠে ফেনী পর্যন্ত যাই। ফেনী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে হেফাজত কর্মীদের একটি রিজার্ভ বাসে উঠে কাচপুর ব্রিজ পার হয়ে একটি মাদ্রসার মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ে নাস্তা করে মিছিল নিয়ে মতিঝিলের দিকে যাচ্ছি। মাওলানা শিহাব উদ্দিনের মোবাইলে চার্জ না থাকায় আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টায় আমি দেখি শনির আখড়ায় মাথায় কালেমার পতাকা বাঁধা মিছিলের সামনে শ্লোগান ধরে রাস্তার একপাশ থেকে আরেক পাশে পার হচ্ছেন মাওলানা শিহাব উদ্দিন। তখন আমি কাছে গেলে আমার হাত ধরেন। একসাথে মসজিদে যোহরের নামাজ পড়েছি। তখন প্রচন্ড ক্ষুধা, “মাওলানা শিহাব উদ্দিন বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় ১লিটার বোতলে ভরে চাউল-ডাল ভাজা (করই), ৫টা কলা, ৬টি রুটি একটি গামছায় বেঁধে নিয়েছিলেন। খেতে খেতে আমাকে বলেন সকাল থেকে আপনার সাথে আমার যোগাযোগ নেই, যদি আন্দোলন ৫/৭দিন বাড়ে আমি থাকবো, চাকরির যা হবার হবে। আপনার মসজিদের দায়িত্ব আছে চলে যেতে হবে। টাকা পয়সা কত আছে, আমি ৭শ টাকা আছে বলার পর আমাকে আরো ৫শ টাকা দিলেন। তখন বাইরে মিছিলে মিছিলে উত্তাল হয়ে উঠছে রাজপথ। আমরা মিছিলে সাথে সায়দাবাদ পৌছে আসরের নামাজ পড়ি । এরপর খবর আসে কাকরাইলের দিকে হামলা হচ্ছে, তখন শিহাব উদ্দিন মিছিলের শ্লোগান ধরে কাকরাইলের দিকে এগিয়ে যান। আমি লক্ষ মানুষের ভিড়ে আর খুঁজে না পেয়ে চলে যাই মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকে। সেখানে আমার এক আত্নীয়ের কাছে। “সন্ধার পর আমার ঐ আত্নীয় সহ একটি দোকানে টিভির লাইভে ভিবিন্ন স্থানে আইনশৃংখলা বাহিনী হামলার দৃশ্য দেখতে পাই। অনেক লোক আইনশৃংখ্যলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে। মাওলানা শিহাব উদ্দিনকে কাকরাইলে স্পস্ট গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখলাম। পরপর ৩টি গুলি তার বুকে মাথায় এবং পায়ে লাগে। মাওলানা শিহাব উদ্দিনের লাশ নিয়ে যায় রাজারবাগ ‘দি বারাকা জেনারেল হাসপাতালে’। মাওলানা শিহাব উদ্দিনের এক ছাত্র জিয়া ও এসএম আবু হেনা কায়সার মৃত্যুর খবর পেয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে লাশ খুঁজতে শুরু করেন। পরে ‘দি বারাকা জেনারেল হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে রাত ২টায় রাশেদুল ইসলাম ও জিয়া ফজরের সময় মিরসরাই এসে পৌছেন।

জানা গেছে, সকাল ১১টায় মাওলানা শিহাব উদ্দিন নিজামীর জানাজার কথা মাইকে পাবলিসিটি করেন জুয়েল ও ফয়সাল। তারা কমর আলী হাবিব রোড, আইয়ুব আলী মার্কেট নতুন হাট হয়ে বড় দারোগার হাটের কাছাকাছি পর্যন্ত প্রচার করেন। মাইকে কমরআলী মাঠে জানাজার নামাজের প্রচার করলেও ছাত্রলীগের রিয়াদ, জসিম, টোটন, নজরুল লিটন কমর আলী মাঠে জানাজা করতে বাঁধা দেয়। পরে তার প্রিয় কর্মস্থল বগাচতর নূরিয়া গনি উল উলুম ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার মাঠে করতে চাইলে সেখানেও সেদিন প্রশাসন এবং আওয়ামীলীগের বাঁধার কারনে শহীদ মাওলানা শিহাব উদ্দিনের জানাজা হয় বাড়ির সামনে ।

মিরসরাই উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির নুরুল করিম জানান, মাওলানা শিহাব উদ্দিন ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসা শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে মিরসরাই এস জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। উপজেলা জামায়াতের বায়তুল মাল সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে আমি সৌদি আরব চলে যাওয়ার পর ১৯৯৯ সালে মাওলানা শিহাব উদ্দিন উপজেলা জামায়াতের আমির নির্বাচিত হন।
এসএম আবু হেনা কায়সার জানান, আমি এবং জিয়া ভাই খবর পাই মাওলানা শিহাব উদ্দিন নিজামী গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়েছেন। আমরা আলাদা টিম করে শাপলা চত্বর মঞ্চ, ঢাকা মেডিকেল এবং রাজারবাগ বিভিন্ন হাসপাতালে লাশ সন্ধান করতে থাকি। দি বারাকা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখি অনেক লাশ ফেলে রাখা হয়েছে। সেখানে খুঁজে পাই মাওলানা শিহাব উদ্দিনের লাশ। দেরি না করে আমরা এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে লাশ তুলে রওয়ানা করি। টিটি পাড়া পর্যন্ত গিয়ে আমি নেমে গেলে জিয়ার সাথে রাশেদুল ইসলাম এ্যাম্বুলেন্সে উঠে রওয়ানা করে মিরসরাইয়ের উদ্দেশ্যে।

রাশেদুল ইসলাম জানান, সেদিন প্রতি মূহুর্তে ঢাকার পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। দিনে যেখানে দেখেছি লাখ লাখ মানুষ, রাতে সেখানে লাশ ছাড়া কিছু নেই। দিনে যেখানে দেখেছি পিছঢালা কালো রাজপথ, রাতে সেখানে ক্লান্ত ঘুমন্ত আলেমদের উপর চালানো হয় হায়েনার মতো বর্বরতা। সেখানে রক্তের বন্যা ভয়ে যায়। রাত ২টায় আমরা লাশ নিয়ে রওয়ানা করে ভোর ৬টায় মিরসরাই গ্রামে লাশ নিয়ে পৌঁছি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে মৃত্যু উপত্যকা ঢাকা থেকে লাশ নিয়ে  গ্রামে আসার পর আওয়ামীলীগ এবং তাদের দলীয় ক্যাডারদের বাঁধায় জানাজা পড়তে পারি নাই। ঘরে বন্ধির মতো ছিলাম। এটাই আমার বড় কষ্টের বিষয়।

মিরসরাই উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির নুরুল করিম জানান, মাওলানা শিহাব উদ্দিন ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসা শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে মিরসরাই এস জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। উপজেলা জামায়াতের বায়তুল মাল সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে আমি সৌদি আরব চলে যাওয়ার পর ১৯৯৯ সালে মাওলানা শিহাব উদ্দিন উপজেলা জামায়াতের আমির নির্বাচিত হন।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর ঐ সময়ের মিরসরাই উপজেলা শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাফর উল্লাহ নিজামী জানান মাওলানা শিহাব উদ্দিন আমাদের সংগঠনের সক্রিয় সাথী (কর্মী) ছিলেন। রাজনৈতিক জীবন, কর্মজীবন এবং পারিবারিক জীবনে অল্পতে তুষ্ট খোদাভীরু ছিলেন। সব সময় তিনি শাহাদাতের তামান্না কামনা করতেন। আল্লাহ কবুল করেছেন তার মুনাজাত।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মিরসরাই উপজেলা শাখার সভাপিত মাওলানা শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা ৪ মে ১০টি বাস রিজার্ভ করি ঢাকা শাপলা চত্বর যাওয়ার জন্য। তার মধ্যে সরকারী দলের বাঁধার কারনে সব বাস না আসায় ৪টি বাস নিয়ে রওয়ানা করি। দুপুর সাড়ে ১২টায় মাওলানা শিহাব উদ্দিন আমাকে ফোন দেন আমাদের বাসে যাওয়ার জন্য। তখন আমরা ফেনী পৌঁছে যাই। পরে তিনি নিজে আলাদা হয়ে ঢাকা যান। এরমধ্যে একাধিকবার ফোনে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। পরে রাতে আমার নাম্বার শিহাব উদ্দিনের মোবাইলের ডায়ালে পেয়ে কাকরাইলের সাথী ভাইয়েরা ফোন দিয়ে বলেন শিহাব  গুলিবিদ্ধ হয়েছে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন তারা। আমি এ খবর মিরসরাইয়ের সাথীদের জানালে তারা পরিবারকে খবর দেন। পরে তার লাশ নিয়ে আসে বাড়িতে। আমি পরদিন জানাজায় উপস্থিত ছিলাম।

বগাচতর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এইচ এম সলিম উল্লাহ জানান, মাওলানা শিহাব উদ্দিন ১৯৮৫ সাল থেকে অত্র মাদ্রসায় শিক্ষকতা পেশায় ছিলেন। তার ঈমান আমল লেনদেন আচার অচরণ অন্য সবার থেকে অতুলনীয়। তার গ্রামের বাড়ি ডোমখালী মুরাদপুর গ্রামে। মাওলানা শিহাব উদ্দিন নিজামী আল্লাহর পথে শহীদ হয়ে জীবন দিতে যারা রাজি তাদের নাম রদন হেফাজতের এক সভায়। সেই তালিকায় তিনি নিজের নাম স্ত্রী ও তার ২ ছেলের নামও লিখেন। এভাবেই তিনি সব সময় শহীদি মৃত্যুর ইচ্ছা পোষন করে আসছিলেন। তিনি আরো জানান, ৪ মে মাদ্রাসার ছুটি হলে মাওলানা শিহাব ঢাকায় হেফাজতের কর্মসুচিতে যাওয়ার জন্য আমার থেকে ছুটি নেন। ছুটি নেওয়ার পর আর বাড়িতে যাননি। ভুঁয়ারহাট পর্যন্ত গিয়ে কয়েকবার মাদ্রাসার সামনে এসে ঘুরাঘুরি করেন। তখন তাকে খুব চিন্তিত মনে হয়েছে, চেহারার মধ্যে বিষন্মতার ভাব। এর আগে কখনো এরকম দেখিনাই।  ৫ মে রাত ১১টায় আমার কাছে ফোন আসে মাওলানা শিহাব উদ্দিন নিজামী মতিঝিল শাপলা চত্বরে শহাদাত বরণ করেছেন। মাওলানা শিহাব ক্লাসে পাঠদান শেষে ছাত্রদের নৈতিকতা, মানবিক মূল্যবোধ, সামাজিককতা ও দেশপ্রেম সম্পর্কে ক্লাসে আলোচনা করতেন।

তিনি মাদ্রাসায় দুপুরের জন্য রুটি নিয়ে আসতেন,শুকনো রুটি খেয়ে পানি খেতেন। এভাবে সৎভাবে জীবন যাপন করতেন। ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী রাষ্ট ব্যবস্থা এবং শাহাদাতের তামান্না সব সময় কামনা করতেন।

ফখ|চখ

এই বিভাগের আরও খবর