গরমে হাঁসফাঁস চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার পশুপাখিদের
তীব্র গরমে ভালো নেই চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার খাঁচা বন্ধ প্রাণীরা। তীব্র গরমে কষ্টে সময় পার করতে হচ্ছে চিড়িয়াখানার শতাধিক প্রজাতির সাড়ে ছয় শতাধিক পশু-প্রাণীকে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে এখন পানিতেই সময় কাটছে বাঘ, সিংহ, ভালুকসহ বেশিরভাগ প্রাণীর। তীব্র খরতাপে পাখিদের মধ্যেও বেড়েছে চরম অস্বস্তি। টানা তাপদাহের কারণে অনেক প্রাণীরই দেখা দিচ্ছে পানিশূন্যতা। এতে স্বাভাবিক আচরণগত পরিবর্তনও দেখা দিচ্ছে।
চিড়িয়াখানায় সরেজমিনে দেখা গেছে, তীব্র গরমের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বেশিরভাগ প্রাণীর মধ্যে।খাবার গ্রহণে দেখা দিচ্ছে অনীহাও। অনেক প্রাণী গরমে শুধু হাঁপাচ্ছে।
খাঁচাবন্দি অন্যান্য প্রাণীরও নেই স্বাভাবিক সময়ের মতো একে অপরের সঙ্গে খুনসুটি, চিৎকার-চেঁচামেচি।। অন্য প্রাণীরা দৌড়াদৌড়ি ও ছোটাছুটি করে বেশিরভাগ সময় পার করলেও গরমের কারণে ভিন্নতা দেখা গেছে। বন্দি পশু-প্রাণীদের কেউ খাঁচার এক কোণে বসে, কেউ বা আবার গাছের ছায়ায় বসে পার করছে।
সময়স্বাভাবিক সময়ে চিড়িয়াখানার প্রবেশমুখের একটু সামনে থাকা সিংহ জোড়ার হুঙ্কার শুনতে পেতেন দর্শনার্থীরা। তা ছাড়া খাঁচার চারপাশে ‘রাজার’ মতোই ঘুরে ঘুরে গর্জন দিত বাঘ। গরমের কারণে বাঘ ও সিংহের এমন দৃশ্য নেই। গরমের তীব্রতা থেকে বাঁচতে খাঁচার ভেতরের চৌবাচ্চায় বেশিরভাগ সময় মাথাসহ পুরো শরীর পানির মধ্যে ভিজিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় বাঘ করোনা, জয়া ও জো বাইডেনকে। পানিতেই বেশিরভাগ সময় কাটছে বিরল সাদা বাঘ ‘শুভ্রা’ ও তার সন্তানগুলোর কখনও একে অন্যের পিঠে উঠে, খুনসুটি করে বা হুট করে পানি দিয়ে পুরো গা ভিজিয়ে সময় কাটছে শাবকদের।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ এ প্রসঙ্গে বলেন, তীব্র গরমে মানুষের মতো এদের অবস্থাও কাহিল। খাঁচাবন্দি প্রাণিকুলকে গরম থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে তাই বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বর্তমানে প্রতিদিন বাড়তি পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এই পানিতেই বেশিরভাগ সময় পার করে গরম থেকে মুক্তির পথ খুঁজছে পশু-প্রাণীরা।
◑ ফখ|চখ