জোড়া খুনের তথ্য জানতে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতে শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ
চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে গত বছরের ২৯ আগস্ট রাতে খুন হন মো. আনিস ও মাসুদ কায়ছার নামে দুইজন। এ ঘটনায় অন্যতম আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন। এ হত্যাকাণ্ডের তথ্য জানতে পুলিশ সাজ্জাদকে ৭ দিনের জিজ্ঞাসাবাদে জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয়ার আবেদন করে।
হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ জানিয়েছেন, সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসাবাদে ৩ দিনের জন্য পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহারের আদালত। আজ রোববার দুপুরে এ অনুমতি মিলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন , গত বছরের ২৯ আগস্ট ডাবল মার্ডারের একটি ঘটনা ঘটেছিল। যারমধ্যে একটি পড়েছে হাটহাজারীতে। ওই ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সাজ্জাদের ৭ দিনের পুলি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত ৩ দিনের মঞ্জুর করেছেন।
কে এই সাজ্জাদ
চলতি বছরের শুরুর দিকে ফেসবুক লাইভে এসে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমানকে ‘পেটানোর’ হুমকি দেন সাজ্জাদ। এ ঘটনার পর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) তার বিরুদ্ধে পুরস্কার ঘোষণা করে। এরপর তিনি গা ঢাকা দেন। ১৫ মার্চ রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) বিশেষ টিম।
হাটহাজারী, বায়েজিদ বোস্তামী, চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ‘ছোট সাজ্জাদ’ হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও জোড়া খুনসহ ১৫টিরও বেশি মামলার আসামি।
হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. জামালের ছেলে সাজ্জাদ চট্টগ্রামের আলোচিত ‘এইট মার্ডার মামলার’ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। বিদেশে অবস্থানরত সাজ্জাদ আলী খান চাঁদাবাজি ও হত্যাকাণ্ডের জন্য ছোট সাজ্জাদকে ব্যবহার করতেন।
দুই যুগ আগে চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতুর সংযোগ সড়কে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাইক্রোবাস আটকে গুলি চালিয়ে আটজনকে হত্যা করেছিলেন বড় সাজ্জাদ। তার অনুসারী হিসেবে বায়েজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছিলেন ছোট সাজ্জাদ।
২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারি বায়েজিদ বোস্তামী থানার অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে প্রকাশ্যে গুলি করে মাসুদ কায়সার ও মোহাম্মদ আনিসকে হত্যা করা হয়। একই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর চান্দগাঁও থানার অদূরপাড়া এলাকায় ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন তাহসীনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ৫ জুলাই বায়েজিদ থানার বুলিয়াপাড়া এলাকায় বাসায় ঢুকে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এছাড়া, ২৭ অক্টোবর চান্দগাঁও হাজীরপুল এলাকায় ঠিকাদার মো. হাসানের বাসায় গুলি করা হয় এবং ৫ ডিসেম্বর অক্সিজেন মোড়ে পুলিশের ওপর গুলি চালিয়ে পালিয়ে যান সাজ্জাদ।
◑ ফখ|চখ