মাত্র ২০ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়, সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি। এতেই লন্ডভন্ড হয়েছে মিরসরাই উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন । উপড়ে গেছে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছপালা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে পুরো উপজেলা। রাস্তায় গাছ উপড়ে পরে ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছ পড়ে মারা গেছে ২ লাখ টাকা দামের গরু।
সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টায় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে আকস্মিক এই ঘূর্ণিঝড় প্রবল বেগে আঘাত হানে এ উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের হাসিম নগর, ইছাখালী ইউনিয়নের চর শরৎ, ভুঁইয়া গ্রাম, চুনিমিঝির টেক, মাদবার হাট, আবুরহাট, কাজী গ্রাম, কাটাছড়া ইউনিয়নের শিকার জনার্দ্দনপুর গ্রাম।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মঘাদিয়া হাসিমনগর ওয়ার্ড এবং ইছাখালী ইউনিয়ন। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকটি জায়গায় এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
আবু তোরাব থেকে মোঃ আলমগীর ও হেলাল উদ্দিন জানান, ১১নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড হাসিম নগরের আশপাশে কয়েকটা বাড়ি ঘর গাছপালা গবাদি পশু ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ে হাসিম নগর গ্রামের গ মনসুর আলী মেস্তরী বাড়ির অহিদুল ইসলাম এর ২ লাখ টাকার গরু গাছ পড়ে মারা যায়।
চর শরৎ এলাকার স্কুল শিক্ষক জানান, কালবৈশাখীর ঝড়ে চরশরত মডেল হাই স্কুল এর দুটি ক্লাস রুমের ছাদ উড়িয়ে নিয়ে গেছে। এ অবস্থায় শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
এসময় হাসিম নগর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের পাশে তারেক স্টোর নামের একটি দোকানের উপর গাছ পড়ে দোকানটি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে দোকানির প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান।
চুনি মিঝির টেক এলাকার ইঞ্জিনিয়ার তারেক আজিজ জানান, আমাদের এলাকায় ২০ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে মানুষের বসত ঘর, কৃষকদের বোরোধান, গাছপালা , বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।
মিরসরাই পল্লী বিদ্যুৎ জোন ৩ এর ডিজিএম আদনান আহমেদ চৌধুরী জানান, পল্লী বিদ্যুত লাইন মিরসরাই উপজেলাকে ৩টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। আমার আওতাধীন এলাকায় ১৩টি খুঁটি ভেঙ্গেছে। অনেক জায়গায় তার চিড়ে গেছে। এগুলো দ্রুত মেরামত করে লাইন চালু করার জন্য কাজ চলছে।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, মিরসরাই উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে মানুষের ঘর বাড়ি, গাছপালা, গবাদি পশু এবং বিদ্যুৎ এর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনো মাঠে কাজ করছে সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো। ক্ষয়ক্ষতির কোন সঠিক তথ্য এখনো আসেনি।
তাসু/চখ