চট্টগ্রাম মহানগরে চলাচলরত ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো জরিমানার আওতায় আসছে। গতকাল শুক্রবার হিজড়াখালে ব্যাটারিচালিত রিকশা খালে পড়ে ৬ মাস বয়সী শিশু সেহরিশের মৃত্যুর ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে নগর পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে চলাচলরত এসব ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে প্রায়ই নগরে দুর্ঘটনা ঘটছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, ‘মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করার অনুমতি নেই, এটি অবৈধ। আমাদের ডাম্পিং করার মতো স্থান না থাকায় রিকশাগুলো জব্দ করতে পারছি না। আমরা আইনগতভাবে জরিমানার আওতায় আনছি।‘
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরের চকবাজার এলাকায় হিজড়াখালে ব্যাটারিচালিত রিকশা পড়ে সেহরিশ নামে এক শিশু নিখোঁজ হয়।
প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর আজ শনিবার সকালে সেহরিশের মরদেহ উদ্ধার হয় চাক্তাই খালের চামড়া গুদাম এলাকায়। এই দুর্ঘটনার পরই ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে নগরবাসীর মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। ওঠে নানা প্রশ্নও।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারকাজ তদারকি করতে গিয়ে বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স নেই। চালকদের প্রশিক্ষণও নেই। বেপরোয়াভাবে রাস্তায় চলাচল করে এসব রিকশা। আমাদের নাগরিকদের সচেতন হওয়া উচিত। ঝুঁকিপূর্ণ যান ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত।’
সিএমপির ডিসি ট্রাফিক (উত্তর) নেসার উদ্দিন বলেন, ‘নগরে এই অবৈধ যানটি আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান নিয়মিত চলমান।’
সিএমপির ডিসি ট্রাফিক (দক্ষিণ) লিয়াকত আলী খান বলেন, ‘আমাদের মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনসে জায়গা নেই। ডাম্পিংয়ের জায়গা পেলে নগরীর সব ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ আমাদের জন্য কঠিন কোনো কাজ নয়। কিন্তু জব্দ করে রাখব কোথায়? পরে বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হবে। তাই সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।‘
এক প্রশ্নের জবাবে লিয়াকত আলী খান বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে চেকপোস্ট বসিয়ে, জনবল বাড়িয়ে যে ধরনের অভিযান চালানো হয় তেমন বিশেষ কোনো অভিযান পরিচালিত হয়নি। যেহেতু এটি অবৈধ যান তা নিয়মিত আমরা জব্দ করি। শনিবার থেকে সেটি জোরদার করা হয়েছে।‘
জেএফআই/চখ