chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

এবার চাই নতুন টুপি

ঈদের মাত্র কয়েক দিন বাকি। জামা, জুতা,পাঞ্জাবি সব কেনা শেষ। এবার চাই নতুন টুপি। ঈদের দিন সকালে জামাতে যেতে বাহারি টুপি না হলে চলেই না। তাই টুপিটা কিনতে হবে দেখে শুনে। চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন মার্কেটের পাশাপাশি ফুটপাতেও চলছে টুপির বেচাকেনা। টুপি বিক্রি করে বাড়তি আয়ের আশায় কেউ কেউ বেছে নিয়েছেন মৌসুমি টুপির ব্যবসাও।

বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামের টুপির পাইকারি বাজার রিয়াজউদ্দিন বাজার। আন্দরকিল্লার টেরি বাজারেও রয়েছে টুপির পাইকারি ব্যবসা। এখান থেকেই খুচরা ও ভাসমান ব্যবসায়ীরা টুপি কিনে নেন। অল্প পুঁজির এই মৌসুমি ব্যবসায় লাভও ভালো। চাঁদারাত পর্যন্ত চলবে টুপির বিকিকিনি। সাদা কাপড়ের সুতার কাজ করা সাধারণ টুপি যেমন আছে, তেমনি আছে রকমারি কাজের বাহারি সব টুপি। অধিকাংশ বিক্রেতারা জানান, সাধারণ টুপির চাহিদাই বেশি।

নগরীতে সবচেয়ে বেশি টুপির দোকান বসে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ এলাকায়। লালদিঘির মুখ থেকে আন্দরকিল্লা হয়ে সিটি কপোরেশনের সামনে পর্যন্ত টুপির দোকান রয়েছে অন্তত ৩০টি।

আন্দরকিল্লা এলাকায় কথা হয় চন্দনাইশের ভাসমান টুপি বিক্রেতা আজগর আলীর (৫৬) সাথে। তিনি দৈনিক চট্টলার খবরকে বলেন, সারা বছর গ্রামে ফলমুলের ব্যবসা করি। রমজান মাস আসলে আন্দরকিল্লা এসে টুপি ব্যবসা করি।’ আজগর আলী জানান, সাদা কাপড়ে সুতার কাজ করা টুপির বিক্রি বেশি হয়।

একই এলাকার আরেক টুপি ব্যবসায়ী রমিজ উদ্দিন (৫১) বলেন, বাহারি টুপির চাহিদা রয়েছে ছোট বাচ্চাদের মধ্যে। প্রতিদিন প্রায় শতাধিক টুপি বিক্রি করে প্রচুর লাভও হচ্ছে তার। রমিজ উদ্দিনের কাছে থাকা টুপির দাম ৩০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা।

নিউ মার্কেট এলাকার টুপি ব্যবসায়ী নবাব উদ্দিন বলেন, ‘১০ বছর ধরে আমি আন্দরকিল্লায় রমজান মাসে টুপি বিক্রি করি। কিন্তু এবার এই এলাকায় টুপি ব্যবসায়ী বেশি। তাই আমি, নিউ মার্কেট এলাকায় চলে এসেছি।

রিয়াজউদ্দিন বাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার টুপি কিনেছেন কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিশ হাজার টাকা দিয়েছি। ৩০ হাজার টাকা বাকি। টুপি বিক্রি করে টাকা শোধ করব।

নগরীর বহদ্দরহাট মোড় এলাকায় নিজের ও সন্তানের জন্য টুপি কিনছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, ছেলেটা এবার প্রথম আমার সঙ্গে ঈদের জামাতে যাবে। ওর জন্য একটা টুপি কিনব,সঙ্গে নিজের জন্যও। ’

চকবাজার এলাকার টুপি বিক্রেতা আশফাক উদ্দিন বলেন, ‘প্রতি টুপিতে ১০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা পর্যন্ত লাভ হয়। আশা করছি আমার সব টুপি চাঁদরাতের মধ্যে বিক্রি হয়ে যাবে। ◑ ফখ|তাসু|চখ

এই বিভাগের আরও খবর