বাঁশখালীতে আগুনে পুড়ে ছাই ৫ দোকান
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ দোকানির সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। যথাসময়ে খবর পেয়ে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলে পাশের অনেক দোকান বড় ধরণনর ক্ষয়-ক্ষতি থেকে রক্ষা পায় বলে জানান স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪০ লক্ষাধিক বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা।
শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেচুরিয়া হাবিবের দোকান এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন ওই এলাকার শওকত আলীর মিষ্টির কারখানা ও বিক্রয়ের দোকান, মো. জাকারিয়ার কুঠির শিল্পের দোকান, মো. কালু, মো. এন্তু মিয়া ও মো. নেছার আহমদের শুটকির দোকান।
ক্ষতিগ্রস্তদের একজন মো. কালু জানান, ‘মুহূর্তের অগ্নিকাণ্ডে আমাদের একই লাইনের পাঁচটি দোকানের সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। গতকাল আমার পাশের মিষ্টির দোকানে পানীয়জলসহ প্রায় ছয় লক্ষ টাকার মালামাল তুলেন। আগুনে সব পুড়ে যায়। এতে আমার নগদ টাকাসহ সবকিছু পুড়ে যায়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রাথমিক ধারণা পাশের শওকতের মিষ্টির দোকানের চুলা থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটেছে।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ‘সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের খবরে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের আলাদা দু’টি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পাঁচ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে পাশের অন্যান্য দোকান বড়ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়।
বাঁশখালী ফায়ার সাভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ইনর্চাজ মো.মিজানুর রহমান জানান, ‘আজ সকালে বৈলছড়িতে দোকানে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুতই ঘটনাস্থলে পৌঁছি। আমাদের দু’টি দমকলবাহিনী একসাথে কাজ করে পাঁচ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। এতে পাঁচ দোকানের সর্বস্ব পুড়ে যায়। রক্ষা পায় পাশের আরো কয়েকটি দোকান। যথাসময় খবর না পেলে এ ক্ষয়ক্ষতি আরো বেড়ে যেতো বলে জানান তিনি।’
-চখ/আরএ