chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রাম নগরের যেখানে সেখানে যানজট 

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ধুম পড়েছে নগরবাসীর কেনাকাটায়। রমজানের উনিশ দিন পেরিয়ে যাওয়ায় সর্বস্থরের মানুষের ঈদ কেনাকাটার চাপে রাস্তায় গাড়ি ও পথচারীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে মারাত্মক যানজট সৃষ্টি হচ্ছে নগরজুড়ে।

বিশেষ করে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন শপিং মল, বাজার ও প্রধান সড়কগুলোতে যানজটের কারণে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।

নগরের নিউমার্কেট, আন্দরকিল্লা, বহাদ্দারহাট, ২ নম্বর গেইট, জিইসি ও আগ্রাবাদের মতো ব্যস্ত এলাকাগুলোতে দেখা যায় যানবাহনের গতিবেগ অনেকটাই কমে গেছে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাফিক পুলিশের পোহাতে হচ্ছে বড় ধরণের ঝাক্কি যা মোকাবেলা করে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আরো বেগবান করতে সহায়তাকারী হিসেবে মাঠে নামানো হয়েছে শিক্ষার্থীদের।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেলো শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক পুলিশের সাথে সমন্বয় করে রাস্তায় যানজট নিয়ন্ত্রণ, পথচারীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপার করানো, যত্রতত্র পার্কিংয়ে বাঁধা প্রদানসহ যানবাহনকে সঠিক পথে চলতে সাহায্য করছে। তাদের এই উদ্যোগে রাস্তায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বলে জানিয়েছেন পথচারীরা।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) এর ট্রাফিক বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ঈদ পুর্ববর্তী সময় যানজট একটি বিরাট সমস্যা।যা নিয়ন্ত্রণে আমাদের রীতিমতো হিমসীম পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। আমরা নগরবাসীর ভোগান্তি কমিয়ে আনতে যথাসম্ভব চেষ্টা করে যাচ্ছি।

এছাড়া জুলাই আন্দোলন পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কথা তুলে এনে তিনি বলেন সরকার পরিবর্তনের পর শিক্ষার্থীরা সড়কের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তাকে সাধুবাদ জানিয়ে এবার রমজানের শেষ দিকে আমরা সীমিত সময়ের জন্য শিক্ষার্থীদের সহায়তাকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের সহযোগিতা সড়ক নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

ট্রাফিক সহায়তাকারী হিসেবে শিক্ষার্থীরাও এই উদ্যোগে উৎসাহিত। তারা বলছেন, রমজানের এই সময়টাতে অফিসগামী যাত্রী কিংবা মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে যতটুকু সম্ভব ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা করছি। এ কাজের অংশ হতে পেরে গর্বিত বোধ করছি।

হাসান শরিফুল নামে এক শিক্ষার্থী জানান, ‘আমরা যানজট কমাতে এবং মানুষকে সাহায্য করতে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছি। এতে অংশ নিতে পেরে ভালো লাগছে। এটি আমাদের জন্য একটি সামাজিক দায়িত্বও বটে।‘

কামরুল হুদা নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা যানজট কমাতে এবং মানুষকে সাহায্য করতে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছি। তাঁদের সাথে কাজ করে আমরা শিখছি কিভাবে সড়কের শৃঙ্খলা বজায় রাখা যায়। রমজানের শেষদিকে মানুষের বাড়ি ফেরার চাপ, কেনাকাটার চাপ সব মিলিয়ে সড়কে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। যে ভোগান্তি থেকে জনসাধারণকে কিছুটা স্বস্তি দিতে আমাদের এই ছোট্ট প্রচেষ্টা অনেক বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

ঘরে ফেরার পথে ফাতিন ইমতিয়াজ নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, অফিস শেষে বাসায় ফিরছিলাম। কিন্তু যানজট দীর্ঘ হওয়াতে দুশ্চিন্তা ছিলো ইফতারের আগে বাসায় পোঁছাতে পারবো কিনা ।তবে যখন দেখলাম যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও রাস্তায় কাজ করছে, তখন খুবই ভাল লাগলো। তাঁদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এমন ব্যস্ত সময় পুরোপুরি না হলেও কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সড়কে।

এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি প্রশাসনের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অনেক যাত্রী ।

◑ ফখ|চখ

এই বিভাগের আরও খবর