ফটিকছড়িতে ‘বল সুন্দরী’ বরই চাষে এখলাসের বাজিমাত
ধুরুং খালের চরের মাটিকে যেকোনো ফসল চাষের জন্য আদর্শ ভূমি বলা হয়ে থাকে। উর্বর এ মাটিতে যে কোনো ফসলের বাম্পার ফলন হয়।
ধুরুংয়ের উর্বর ভূমিকে কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চন নগর ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের সৌখিন কৃষক মোহাম্মদ এখলাস ‘বল সুন্দরী’ বরই চাষ করে বছরে আয় করছেন লাখ টাকা। নিজে পেয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি, গড়েছেন কয়েকজন বেকার যুবকের কর্মসংস্থান।
সরেজমিনে দেখা যায়, বল সুন্দরী গাছের প্রতিটি থোকায় থোকায় কুল ঝুলছে। সুস্বাদু বাহারি রঙের বরই তিনি গাছে থেকে পেড়েই বিক্রি করেন। পোকা ও পাখির আক্রমণ থেকে রক্ষায় বাগানের চারপাশে মশারি জালের বেড়া দিয়েছেন। এ বছর শুরুতে ৪শ কেজি ইতিমধ্যে বিক্রি করেছে। তিনি চরের নতুন করে আরও চারা লাগাবেন বলে জানান।
২০২১ সালে ধুরুং চরের ‘বল সুন্দরী’ বড়ই চাষ শুরু করেন এখলাস। কয়েক বছরের মধ্যে তাকে আর পেছন ফিরে থাকাতে হয়নি। এখলাস তার জমিতে পরীক্ষামূলক ২২টি ‘বল সুন্দরী’ বড়ই গাছ রোপণ করেছিলেন। তার ঘাম জড়ানো পরিশ্রমে কয়েক বছরের মধ্যে গাছে ব্যাপক ফলন আসতে শুরু করে। গত মৌসুমে এসব গাছ থেকে তিনি লাখ টাকার বরই বিক্রি করেছিলেন।
এবারও মৌসুমের শুরুতে তিনি ৫৬ হাজার টাকা বরই বিক্রি করে ফেলেছেন। কিছুদিনের মধ্যে তিনি সব গাছের বড়ই বিক্রি করে ফেলবেন। এসব বড়ই বিক্রি থেকে খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকা লাভ ঘরে তুলতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।
বাগানের শ্রমিক সুমন মিয়া দৈনিক চট্টলার খবরকে জানান, তারা এ বাগানে কাজ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ ভাল আছেন। এ বাগানের মালিক সবসময় নিজে কাজ করে এতে কাজ করে আনন্দ লাগে।
কৃষিউদ্যোক্তা এখলাস বলেন ” ধুরুং খালের মাটি উর্বর হওয়ায় এর আগে আমি কলা চাষ করে বেপক লাভবান হই।পরে পরীক্ষামূলকভাবে বল সুন্দরী বরই চাষ করি ১৫ হাজার টাকা খরচ করে এইবছর ২ লাখ টাকার বরই বিক্রি হবে আশা করছি।
ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ফটিকছড়ির মাটি হচ্ছে সোনা নয় মহা সোনা। আর ধুরুং এর চরে সাধারণত সবজির চাষটা বেপক ভাবে হয়ে থাকে।বরই চাষ এটা খুব ব্যতিক্রম। এমন চাষ দেখে অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হবে।
◑ ফখ|চখ