chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫ কোটি টাকা : মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহদাদ হোসেন বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই বরাদ্দের অর্থ সুপরিকল্পিতভাবে ব্যয় করতে হবে।’

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে প্রকৌশল, পরিচ্ছন্ন বিভাগ এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদেরর সঙ্গে জলাবদ্ধতা বিষয়ক সমন্বয় সভায় তিনি একথা বলেন।

মেয়র বলেন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে নিজ নিজ অঞ্চলের জলাবদ্ধতার কারণ চিহ্নিত করবেন। প্রত্যেক আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে ২০ জন করে শ্রমিক দিয়ে ১২০ জনের ছয়টি বিশেষ টিম করে দেওয়া হয়েছে। আপনারা এই টিমগুলো কাজে লাগিয়ে এলাকার সার্ভিস ড্রেনগুলো থেকে ময়লা পরিষ্কার করে ফেলবেন। প্রতিদিন এই টিমটি কাজ করছে কিনা, করলে কোথায় করছে, কী করছে তার ভিডিও এবং ছবি সংগ্রহ করবেন।

তিনি হুশিয়ারি করে বলেন, নিজ নিজ অঞ্চলের যে সব কমিউনিটি সেন্টার, রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল, মার্কেটসহ বড় প্রতিষ্ঠান যত্রতত্র ময়লা ফেলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে তাদের তালিকা করবেন। ইতোমধ্যে ৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা সেই তালিকা ধরে ম্যাজিস্ট্রেটদের দিয়ে জরিমানাসহ আইনানুগ শাস্তির আওতায় আনবো।

জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সাইনবোর্ড স্থাপনের বিষয়ে মেয়র বলেন, নগরের ৪১টি ওয়ার্ড জুড়ে বিভিন্ন খাল-নালা ইত্যাদির পাশে জনসচেতনামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করা হবে। এজন্য আপনারা যথোপযুক্ত এলাকার তালিকা দেবেন। যেহেতু সিডিএর জলবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করছে, উনাদের সাথে সভা করেন। জেলা প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথেও একযোগে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করা যায়, সে বিষয়ে সভা করে যৌথ সিদ্ধান্ত নেন। যে জায়গায় জায়গায় স্কেভেটর ব্যবহার প্রয়োজন সেখানে স্কেভেটর ব্যবহার করুন, আর যেসব জায়গায় ম্যানুয়ালি খনন প্রয়োজন সেখানে শ্রমিক ব্যবহার করুন। পরিচ্ছন্ন শ্রমিকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করুন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল কাশেম।

চখ/ককন

এই বিভাগের আরও খবর