chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ে নাগরিক সভা, নতুন জাগরণের শুরু

চট্টগ্রামে প্লাস্টিক বর্জ্যের টেকসই ব্যবস্থাপনা নিয়ে নাগরিক আলোচনা সভা এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর এবং জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা ইউনিডো’র কারিগরি সহায়তায় ও নরওয়ে সরকারের আর্থিক সহায়তায় নগরীর জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এ কার্যক্রম ‘টেকসই প্লাস্টিক ব্যবহার ও বাংলাদেশে নৌ-দূষণের প্রতিরোধ সমন্বিত উদ্যোগে” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চলমান ৬০টি অনুরূপ আলোচনা সভা ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের অংশ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিচালক সোনিয়া সুলতানা। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, অধিদপ্তরের পরিচালক (ল্যাব) নাসিম ফারহানা শিরিন, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এবং প্রকল্প প্রধান ড. আবদুল্লাহ আল মামুন, উপ-পরিচালক মুজাহিদুর রহমান, সহকারী পরিচালক মারুফ মোহাইমেন, ইউনিডো’র ন্যাশনাল এক্সপার্ট এস. এম. আরাফাত এবং ইউনিডো’র ন্যাশনাল প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সত্য রঞ্জন ভট্টাচার্য প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সোনিয়া সুলতানা প্ল্যাস্টিক বর্জ্যরে সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব তুলে ধরে পরিবেশের সব উপকারভোগী, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং অপচনশীল বর্জ্য দ্বারা দেশের মাটি, পানি ও বাতাস দূষণের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন আমাদের জীবনযাত্রা এবং পরিবেশের সব ক্ষেত্রে সর্বনাশ সাধন করছে অপচনশীল এই প্লাস্টিক বর্জ্য। প্লাস্টিক থেকে সৃষ্ট মাইক্রো-প্লাস্টিক অনুকনা সব জীবিত প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর।

নাসিম ফারহানা শিরিন বলেন, প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে আমাদেরকে ‘থ্রি-আর’ পদ্ধতি (অর্থাৎ রিডিউস, রিইউজ এবং রিসাইকেল) অনুসরণ করা উচিত এবং তাহলেই আমরা প্লাস্টিক বর্জ্য দ্বারা পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমাতে সক্ষম হবো।

সত্য রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, সকাল থেকে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত আমরা প্লাস্টিক নিয়েই চলি। এর মধ্যে দিনের শুরুতে টুথব্রাশ, চিরুনি থেকে শুরু করে সারা দিনের ব্যবহার্য দ্রব্য সামগ্রীর মধ্যে প্লাস্টিকই ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। আমরা যখন প্লাস্টিকের ব্যবহার পুরোপুরি থামাতে পারছি না, তখন অন্তত প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় থ্রি-আর পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারি।

ড. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এখন যারা নবীন, তারাই হবেন আগামীর পূর্ণ বলিষ্ঠ নাগরিক। ফলে তাদের উচিত নিজ নিজ ভূমিকা আন্তরিকভাবে পালন করা এবং অন্যদের কেও প্লাস্টিক দূষণ প্রতিকারে অনুপ্রাণিত করা, যাতে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম একটি দূষণ-মুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশে নিরাপদে জীবন যাপন করতে পারে।

চট্টগ্রামের রোভার স্কাউট ইউনিটের ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবী পরিবেশকর্মী এই আলোচনা এবং স্টেডিয়াম মাঠ-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

 

চখ/মীম

এই বিভাগের আরও খবর