শিক্ষা-চিকিৎসা খাতসমূহকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছিল বিগত সরকার: উপদেষ্টা ফাওজুল
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, শিক্ষা-চিকিৎসা খাতসমূহকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত এবং সকল ষড়যন্ত্রের নায়ক ছিল বিগত সরকার।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বোট ক্লাবে চিটাগং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউ) সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির পক্ষে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এবং শিক্ষার্থীদের সফল ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানান।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, সমাবর্তন মানে শেষ নয় বরং জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা মাত্র। তোমাদের মধ্য থেকে অনেকে টপ এ্যাচিভার্স হয়েছে। অনেকের পক্ষে সেটি অর্জন সম্ভব হয়নি। উভয়কেই দেশের সমৃদ্ধি আনয়নে কাজ করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, জীবনকে সফল করতে শুধু ভালো রেজাল্ট যথেষ্ট নয়। এর সাথে প্রয়োজন সৃজনশীলতা ও কঠোর অধ্যবসায়। দেখার বিষয় দেশ ও জাতির জন্য তোমরা কি করতে পারো। তোমাদের পিতা-মাতা ও সমাজের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করো। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল করতে শিক্ষার্থীরা তাদের চলমান ধারা অব্যাহত রাখবে।তোমরা বিপ্লবের অতন্দ্র প্রহরী। বিগত জুলাই আন্দোলনে তোমাদের মধ্য হতে অনেকে আহত হয়েছে, অনেকে নিহত হয়েছে। অনেকে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে।সবাইকে নিয়ে একযোগে কাজ করতে হবে
তিনি আরও বলেন, বিগত সরকার শিক্ষা-চিকিৎসা খাতসমূহকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছিল। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নাজুক পর্যায়ে নিয়ে গেছে। বিচার ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস করেছে। আশার কথা হচ্ছে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সবখাতে শৃংখলা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। প্রয়োজনীয় সংস্কার শুরু করেছে। এ সংস্কার কাজে তোমাদের সহযোগিতা করতে হবে। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে আরো সম্পৃক্ত হতে হবে।
সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুরুন আখতার। বিশেষ বক্তা হিসেবে ইয়ংওয়ান কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং নির্বাহী (সিইও) কিহাক সুংধ বক্তব্য রাখেন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, সিআইইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীর মোহাম্মদ নুরুল আবসার, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান লুৎফে এম আইয়ুব, প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মোহাম্মদ জাকারিয়া খান।
এবারের সমাবর্তনে, বিভিন্ন অনুষদের মোট ২ হাজার ১ শত ৮৯ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।তন্মধ্যে ১ হাজার ৪ শত ৫২ জন ব্যবসায় প্রকৌশল, আইন এবং লিবারেল আর্টস অনুষদ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন, বাকী ৭ শত ৩৭ জন স্নাতকোত্তর।
অনুষ্ঠানে ১৪ জন শিক্ষার্থীকে তাদের অসামান্য কৃতিত্বের জন্য ‘টপ অ্যাচিভার্স’ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এই শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ প্রোগ্রামে অপ্রতিরোধ্য সাফল্য অর্জন করে সম্মানিত হন।
চখ/মীম