কক্সবাজারে ছিনতাইকারী চক্রের ৬ তরুণ গ্রেপ্তার
তিন পর্যটককে জিম্মি করে ছিনতাই
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত–সংলগ্ন সমিতিপাড়ায় অস্ত্রের মুখে তিন পর্যটকের কাছ থেকে নগদ অর্থসহ মালামাল ছিনতাইয়ের অভিযোগে ছয় তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি লুটের মালামালও উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার তরুণেরা হলেন চট্টগ্রামের লোহাগড়া ভবানীপুরের বড় হাতিয়া গ্রামের ফাহিম রাজ (২২) ও স্কুলরোড এলাকার শহিদুল ইসলাম (২২), কক্সবাজার টেকপাড়া কালুরদোকান এলাকার শাখাওয়াত বিন কাইয়ুম ওরফে আকাশ (২৭), বিজিবি ক্যাম্প–সংলগ্ন চৌধুরীপাড়ার আশরাফুল ইসলাম (১৯), সমিতিপাড়ার সৈয়দ নুর (২০) ও মো. জিসান (১৯)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়া রাস্তারমুখে (বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের পাশে) হৃদয় (২১), তারেক আজিজ (২৩) ও সাজ্জাদ মজুমদার ওরফে শুভ (২২) নামের তিন পর্যটককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সশস্ত্র ছিনতাইকারীরা। এ সময় নগদ ২ হাজার ৭০০ টাকা, একটি আইফোনসহ দুটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
কক্সবাজার মডেল থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিন পর্যটককে উদ্ধার করলেও ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তরুণদের গ্রেপ্তার করে।
এ সময় ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি চাইনিজ কুড়াল, পাইপ রেঞ্জ, চাকু, প্রায় ৬০ ইঞ্চি লম্বা লোহার চেইনসহ একটি ইজিবাইক ও নম্বরবিহীন একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। সেই সঙ্গে পর্যটকদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মুঠোফোন দুটিও উদ্ধার করা হয়।
ওসি মো. ইলিয়াস খান বলেন, গ্রেপ্তার তরুণদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে থানায় ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে একাধিক মামলা আছে। সমুদ্রসৈকতের ঝাউবাগান ও সৈকতে নামার বিভিন্ন সড়কে ছিনতাইকারীরা ওৎ পেতে থাকে। সুযোগ বুঝে তাঁরা পর্যটকদের মালামাল লুট ও ছিনতাই করে। অন্য ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারেও পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে।
-চখ/আরএ