বিপিএলে চিটাগং কিংসের টানা তৃতীয় জয়
বিপিএলে হার দিয়ে শুরু করা চিটাগং কিংস টানা তৃতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে। স্বাগতিক সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৩০ রানে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকারও সেরা দুইয়ে উঠে এসেছে চিটাগং।
উসমান খান-গ্রাহাম ক্লার্কের জোড়া ফিফটিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২০৩ রানের বড় পুঁজি গড়েছিল চিটাগং কিংস। জবাবে সিলেট থেমেছে ৮ উইকেটে ১৭৩ রানে। এ নিয়ে চলমান আসরে জয়ের হ্যাটট্রিক হলো চিটাগং কিংসের।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে চিটাগংকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্ট্রাইকার্স। ব্যাটিংয়ে শুরুটা খারাপ হয়নি চট্টলার ফ্র্যাঞ্চাইজিটির। উদ্বোধনী জুটিতে উসমান খান ও পারভেজ হোসেন ইমন তুলেছিলেন ৩২ রান। যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি ইমন। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া তরুণ এই ওপেনার ১০ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন।
উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর গ্রাহাম ক্লার্ককে নিয়ে দারুণভাবে এগিয়ে নেন উসমান। দুজনই বোলারদের পরীক্ষায় ফেলেছেন। ব্যক্তিগত ফিফটির পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি পাকিস্তানি ব্যাটারউসমান। ৩৫ বলে ৫৩ রান করে আউট হন। অন্যপ্রান্তে তখনো সজোরে ব্যাট চালিয়েছেন ক্লার্ক। তুলে নেন ইনিংসের দ্বিতীয় ফিফটি। ৩৩ বলে ৬০ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলে ফিরেছেন সাজঘরে।
উসমান-ক্লার্ক কল্যানে ভালো ভিত গড়ে দেওয়ার পর মাঝে অধিনায়ক মিঠুন ও শেষ দিকে ঝড় তুলেছেন হায়দার আলী। ১৮ বলে ৪২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান তুলে থামে চিটাগং কিংস।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১ রানেই প্রথম উইকেট হারায় সিলেট। ইনিংসের ২য় বলেই আউট হন পল স্টার্লিং। আরেক ওপেনার রনি তালুকদারও দলের হাল ধরতে পারেননি। তিনি সাজঘরে ফিরেন ৯ বলে ৭ রান করে। রনি ফেরার আগেই অবশ্য আরও ১ উইকেট হারায় সিলেট। দলীয় ৩৬ রানে আউট হন জাকির হাসান।
১৯ বলে ২৫ রান করে জাকির ফেরার পর আউট হন রনি। এরপর দলের হাল ধরেছিলেন জর্জ মুন্সি ও জাকের আলী। এ দুজন মিলে গড়েছিলেন ২৮ বলে ৬২ রানের জুটি। ৩৮৭ বলে ৫২ রান করেন জর্জ মুন্সি, তিনি আউট হন খালেদ আহমেদের বলে উসমান খানের মুঠবন্দী হয়ে। জাকের আলী খেলেন ২৩ বলে ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংস।
জাকের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেও ম্যাচটি জিততে পারেনি সিলেট। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৩ রান করলে ৩০ রানে হারেন আরিফুল হকরা।
এর আগে ব্যাত করতে নেমে ২০৩ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে চট্টগ্রাম। ওপেনিংয়ে ঝড় তুলেছিলেন উসমান খান। তিনি করেন ৩৫ বলে ৫৩ রান। এছাড়া ৩৩ বলে ৬০ রান করেন গ্রাহাম ক্লার্ক। এছাড়া হায়দার আলী শেষদিকে ১৮ বলে ৪২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেললে ২০৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম।
চখ/ককন