শেখ হাসিনা আসবে গণহত্যার আসামি হয়ে : মৎস্য উপদেষ্টা
মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আকতার বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা আসবে গণহত্যার আসামি হয়ে। আদালতের কাঠগড়া ছাড়া বাংলাদেশের কোথাও জায়গা হবে না তার।’ রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বিজিবি সদর দফতরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের পুনর্বাসন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ঘটনায় ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুই শতাধিক মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
বিকেলে বিজিবি সদর দফতরে মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আকতার বলেন, শেখ হাসিনা আসবে গণহত্যার আসামি হয়ে। আদালতের কাঠগড়া ছাড়া বাংলাদেশের কোথাও জায়গা হবে না তার।
ফরিদা আখতার আরও বলেন, জুলাই-আগস্ট মাসের উত্তাল সময়ে বিজিবির ইতিবাচক ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
ছাত্র-জনতার বিজয় পরবর্তী সময়ে বিজিবির ভূমিকার প্রশংসা করে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘গত দুর্গাপূজা উপলক্ষে সীমান্ত দিয়ে ভারতে ইলিশ পাচার রোধে বিজিবি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে। ভবিষ্যতেও ভারতে ইলিশ পাচার রোধে বিজিবি আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসরদের যারা ভারতে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করে সাজার ব্যবস্থা করতে হবে। সেনা সদস্যরা এই কাজটি করবেন বলে আশা করেন তিনি।
এ সময় দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে ভারতীয় গণমাধ্যম প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে বলে জানান হাসনাত।
অনুষ্ঠানে মেজর (অব.) ফেরদৌস আহম্মেদ বলেন, জুলাই আন্দোলনে বিজিবির যেই সদস্য গুলি চালিয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আয়নাঘর তৈরির জন্য আমরা দুঃখিত। এই আয়নাঘর যদি আমিও করে থাকি তাহলে আমি নিজের ফাঁসি চাচ্ছি। সবাই ১০ টাকা করে যদি সহযোগিতা করেন তাহলে আহতদের মধ্যে অন্তত এক হাজার মানুষকে পুনর্বাসন করা সম্ভব।
চখ/ককন