chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

‘চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ দাবি করলে আমরাও বলবো, বাংলাবিহার উড়িষ্যা ফেরত দাও’

ভারতীয়দের আচরণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, তারা চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ বলে দাবি করবে বলেছে। তারুণ্যের শক্তি নিয়ে আমরাও তবে বলবো, তোমরা যদি চট্টগ্রাম দাবি করতে পারো তাহলে আমরাও দাবি করব আমাদেরকে আমাদের নবাব সিরাজুদ্দৌলার বাংলাবিহার উড়িষ্যা ফেরত দাও। এই সব ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে কিছু হবে না।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে প্রতিবাদী পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, মানুষ ভারতে যায় চিকিৎসা করানোর জন্য এবং টুকটাক কেনাকাটা করার জন্য। এটি এই কারণেই যে, ভারত একটি বড় ও পর্যটন সমৃদ্ধ দেশ। আপনারা কি মনে করেছেন, বাংলাদেশে হাসপাতাল নেই? আপনারা বিদেশে যেসব জায়গা থেকে পড়াশোনা করে এসেছেন আমাদের চিকিৎসকরাও সেখান থেকে পড়াশোনা করেছে। চিকিৎসকের কোনো অভাব নেই। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে বাংলাদেশে মেডিকেল কলেজের সংখ্যাও অসংখ্য। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের সম্পদকে রক্ষা করার জন্য আকাশ পাতাল ভূমি প্রত্যেকটা জায়গায় আমাদের যে শক্তি, আমাদের যে সশস্ত্র বাহিনীর যে শক্তি সেই শক্তিও কিন্তু কম নয়। ১৮ কোটি মানুষের দেশ আমাদের বাংলাদেশ। আমরা প্রত্যেকটা দিক থেকে দিল্লির আগ্রাসন প্রতিহত করতে প্রস্তুত আছি।

ভারত ভয়ংকর রকমের সাম্প্রদায়িক উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ঘৃণা, প্রতিহিংসা এবং ভিন্ন ধর্মের প্রতি অবজ্ঞা ছাড়া ওদের আর কোনো রাজনীতি নেই। ওদের রাজনীতির শেষ হয়ে গেছে। একমাত্র দিল্লির আশীর্বাদে শেখ হাসিনা ১৫ বছর ক্ষমতায় টিকে থাকতে পেরেছে। ভারত বাংলাদেশের মানুষকে পছন্দ করে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে তারা সহ্য করে না। তারা হাসিনাকে সমর্থন করে। তারা হাসিনাকে বাঁচানোর জন্য যেসব কাজ করছে সেগুলো পৃথিবীর ইতিহাসে এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় আগ্রাসন ছাড়া অন্য কিছু নয়। তবে সব ধরনের ষড়যন্ত্রই সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

  • ফখ/চখ

 

এই বিভাগের আরও খবর