চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানাধীন দক্ষিণ ধুম গ্রামের ২৭ বছরের এক নারীকে গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি রিয়াজকে সীতাকুণ্ড থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
র্যাব জানান, চট্টগ্রাম বর্ণিত মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারির এক পর্যায়ে গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি মোঃ রিয়াজ চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড থানাধীন দারোগারহাট বাজার এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব ৭ গত ১০ নভেম্বর ১১ টায় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ রিয়াজ (২১), পিতা-মোঃ সিরাজ, সাং-দক্ষিণ ধুম, থানা-জোরারগঞ্জ, জেলা-চট্টগ্রাম’কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামি হওয়ার কথা স্বীকার করলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, ২৭ বছরের মানসিক ভারসাম্যহীন এই নারী অসুস্থতার কারনে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে তার ভাইয়ের বাসায় থাকতেন ।
জানা গেছে, গত ২৪ জুলাই ২০২৪ইং তারিখে সাড়ে ১০টায় ভিকটিমের তিব্র মানসিক সমস্যা দেখা দিলে সে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে রাত ১১টায় রিয়াজ এবং তার অন্যান্য সহযোগীরা মানসিক প্রতিবন্ধী ২৭ বছরের ভিকটিমকে একা পেয়ে মুখ বেঁধে ধুম ইউনিয়নস্থ আনোয়ারের পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জোরপূর্বক বিবস্ত্র করে হত্যার হুমকি দিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে কামড় ও নখের আছড় দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় ভিকটিমের আত্মচিৎকার শুনে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমকে উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাবী বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ২৮ জুলাই ২০২৪ইং একটি মামলা দায়ের করেন ( যার মামলা নং-১৪)।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এটিএম সিফাতুল মাজদার বলেন, গনধর্ষন মামলার আসামি র্যাব-৭ চট্টগ্রাম কতৃক ধৃত রিয়াজকে থানায় হস্তান্তর করার পর পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তাসু/চখ